
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিন ছুটি শেষে অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে গত রবিবার (৬ এপ্রিল)। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উপভোগ করে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসী। গত কয়েকদিন ধরে কর্মজীবী মানুষের ভিড় দেখা গেলেও ঢাকার সড়কে চিরচেনা সেই জ্যাম এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি। যেই রাস্তার জ্যামে সময় যেত ঘন্টার পর ঘন্টা সেই রাস্তাতেই এখন স্বল্প সময়ে ফেরা যায় গন্তব্যে। তবে, এ যানজটবিহীন স্বস্তি ক্ষনিকের জন্য বলছেন নগরবাসী।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট,সাইন্সল্যাব,ধানমন্ডি,লালবাগ,বকশিবাজার সহ আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব সড়কে তেমন কোনো যানজট নেই, যানবহন চলাচল স্বাভাবিক। কিন্তু পূর্বে এসব সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে পড়তে হতো নগরবাসীর।
নগরবাসীর ভাষ্য, ঈদের ছুটিতে কর্মজীবী মানুষ ফিরলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখনো ফেরেনি ঢাকাতে। তারা বলছেন, ঢাকা শহরে বৃহৎ একটি অংশ জুড়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা যাদের বেশিরভাগই গ্রাম থেকে পড়ালেখা করতে আসেন। আর এসব শিক্ষার্থীরা যখন পুরোপুরি ফিরবেন তখন আর এমন চিত্র থাকবে না।
টিউশনি আছে বলে আগেই ফিরতে হয়েছে বলে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈকত হোসেন। তিনি বলেন, স্টুডেন্টের পরীক্ষা না হলে আরও কয়েকদিন বাড়িতে থেকে আসতাম। এখন শহরটা ফাঁকা, চলতে-ফিরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি হয়তো কয়েকদিন পরে আস্তে আস্তে আবার যানজটে পূর্ণ হয়ে যাবে।
‘ঢাহা শহরটা এহন যেমন ফ্যাঁকা এমন চললে শান্তিতে থাকতে পারতাম,’ বলে জানান ভিআইপি পরিবহনের ড্রাইভার মুস্তাফিজ। তিনি বলেন, ‘কষ্ট হয় মামা পেট চালানো লাগে তাই থাকি নাইলে বহু আগে চলে যেতাম। জ্যামে অনেক সময় যায় আমাগো আবার মালিকরেও একটা নির্দিষ্ট টাকা দেওয়া লাগে। অনেক সময় মালিককে আর তেল খরচ দিয়ে আমাগোই আর থাকেনা’।
যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে, নিউমার্কেট জোনের সার্জেন্ট সাজিব বলেন, এ এলাকায় যানজটের অন্যতম কারণ মার্কেট কেন্দ্রিক। আর এখনো সবাই ঢাকায় ফিরেনি এবং মার্কেট পুরোপুরিভাবে খুলছে না। যার কারণে এখন যানজট অনেকটাই কম।
সাইন্সল্যাবে মোড়ে দায়িত্বরত সার্জেন্ট হান্নান বলেন, ঈদের পর মানুষ ঢাকায় লেট করে ফেরার কারণে এরকম ফাঁকা থাকে। ফেরার পর আবার জ্যাম লেগে যায়।
মেহেদী হাসান