
ছবি: সংগৃহীত
জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে। এই আহবান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এর উৎপাদন বাড়াতে হলে জাটকা রক্ষা অত্যন্ত জরুরি। সরকারি-বেসরকারি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাটকা সংরক্ষণ করা সম্ভব। আমরা যদি আজ সচেতন হই, তাহলে আগামী প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধ ইলিশ ভান্ডার।
জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে জাটকা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দুপুরে বরিশালের বেলস্ পার্কে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেনের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী এ বছর জাটকা নিধনরোধে মানুষ আরও বেশি সচেতন হবে।
যদি কোনো জেলে কিংবা অন্যকোনো পেশার ব্যক্তি জাটকা আহরণ, বিক্রয় বা সংরক্ষণের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে। এ ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি বাস্তবায়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, খুলনা নৌ-অঞ্চলের পিএসসি, বিএন চীফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জোনাল কমান্ডার (দক্ষিণ জোন ভোলা) বিসিজিএম, পিএসসি, বিএন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইমাম হাসান আজাদ, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন, বরিশাল অঞ্চল নৌ-পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক।
আলোচনা শেষে বর্ণাঢ্য নৌ-র্যালি বের হয়ে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে গিয়ে শেষ হয়।
শিহাব