
ছবিঃ সংগৃহীত
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, যেসব দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, সেসব দেশও বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তা জানতে চায়। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারের পরিকল্পনার মধ্যেই নির্বাচনের সময়সূচি রয়েছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।”
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিসা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিসা প্রদান প্রতিটি দেশের নিজস্ব এখতিয়ার, এ বিষয়ে কোনো ধরনের জোরাজুরি চলে না। ভারত ভিসা না দিলে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিকল্প দেশের দিকে ঝুঁকছেন এবং সরকার এ ক্ষেত্রে সহায়তা করছে। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের ভিসা না দেওয়ায় কোলকাতার অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য কোনো দেশের জন্যই কল্যাণকর নয়। উস্কানি শুধু বাংলাদেশ থেকে নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও আসে। আমরা চাই উভয় পক্ষই এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করুক।”
তিস্তা প্রকল্পে ভারত ও চীন উভয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “সরকার এ বিষয়ে উদারনীতি নিয়েছে। ভারত চাইলে আলোচনায় শরিক হতে পারে।” তিনি বলেন, “নদীর পানির বৈষম্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এবং চীনের সঙ্গে এ নিয়ে চুক্তি রয়েছে।”
ইতালি ভিসা ইস্যুতে তিনি বলেন, প্রায় ৬০ হাজার আবেদনকারী বাংলাদেশির মধ্যে অনেকের কাগজপত্রে সমস্যা রয়েছে, যা ইতালি শনাক্ত করেছে। “তবে যারা প্রকৃতভাবে উপযুক্ত, তারাও কষ্ট পাচ্ছেন—সেটা দুঃখজনক। আন্দোলন করে এর সমাধান হবে না, আমরা ইতালিকে নিয়মিত চাপ দিয়ে যাচ্ছি,” বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা মিয়ানমারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছি। তবে রাখাইনে এখনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।” ১৮০,০০০ রোহিঙ্গা ফেরতের প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে এবং বাকিদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও মিয়ানমার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানান তিনি।
মারিয়া