ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

যাচাই-বাছাইয়ের মুখে ৮৯ হাজার সরকারি চাকরিজীবী

প্রকাশিত: ১৭:২৬, ৮ এপ্রিল ২০২৫

যাচাই-বাছাইয়ের মুখে ৮৯ হাজার সরকারি চাকরিজীবী

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিকভাবে তথ্য পেয়েছে যে, ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে অনেক ব্যক্তি চাকরি নিয়েছেন।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা কার্যালয়ে বিশেষ টিমের অভিযান পরিচালনার পর এ তথ্য পাওয়া যায়, বলে জানিয়েছেন সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম।

দুদক জানায়, ৩৮তম বিসিএস থেকে ৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এনফোর্সমেন্ট টিম সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক নিয়োগ পাওয়া ৩৮তম থেকে ৪৩তম বিসিএস-এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি পাওয়া ক্যাডার ও নন-ক্যাডারদের তালিকা সংগ্রহ করেছে। এছাড়া নবম বিসিএস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি প্রাপ্তদের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য তালিকা সংগ্রহ করে দুদক। প্রাথমিক পর্যালোচনায় বেশ কিছু ব্যক্তির ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযানে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনার পর এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে, এমনটি জানিয়েছে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।

অভিযোগ অনুযায়ী, বর্তমান জনপ্রশাসনে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছেন ৮৯ হাজার ২৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নিয়োগ পেয়েছেন আওয়ামী শাসনামলে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পাওয়া ৮৯ হাজার ২৩৫ জনের তালিকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনেকের মুক্তিযোদ্ধা সনদ পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক এবং পুলিশ বাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার সংখ্যা বেশি। এসব চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে নানা জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে। গত ১৫ বছরে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধু প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ২৯ হাজার ৪৮৫ জন এবং পুলিশে ২৩ হাজার ৬৩ জন চাকরি পেয়েছেন।

শিহাব

আরো পড়ুন  

×