
ছবি: সংগৃহীত
বাড়ির পাশে গলিপথটি অত্যন্ত নিচু। এতে বর্ষার পানি জমে চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হত। লাঘবে মাটি ভরাটে সংস্কার করায় মঞ্জু আরা (৩৯) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে বেদম মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) গভীর রাতে এ ঘটনায় বাদী হয়ে আহত ওই শিক্ষিকা ৭ জনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-৩/৬১।্রর
জানা যায়, শহরের ১৩ নং ওয়ার্ডের বাশবাড়ি শহীদ নুর মোহাম্মদ রোডের পাশে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করেন ওই স্কুল শিক্ষিকা। তার বাড়ির সাথে রয়েছে ৪ ফুট চওড়া একটি গলি পথ। সেই গলিপথটি মুল সড়ক থেকে দুই ফুট নিচু হওয়ায় পানি জমে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে।
পরে ওই স্কুল শিক্ষিকার স্বামী মীর অপু ও তার পরিবারের সদস্যরা গলিপথে মাটি ভরাট করে। ২৬ শে মার্চ এ ঘটনার জেরে প্রতিবেশী মমতাজ আলীর ছেলে নয়ন (৩০) ও তার পরিবারের সদস্যরাসহ অজ্ঞাতরা মিলে স্কুল শিক্ষিকার পরিবারের অন্যন্য সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। স্কুল শিক্ষিকার চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে মূল সড়কে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে স্কুল শিক্ষিকাসহ সকল আহতদের চিকিৎসার জন্য সৈয়দপুর ১০০ শয্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ন্যায়বিচার পেতে ওই স্কুল শিক্ষিকা সৈয়দপুর থানা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে হামলাকারী ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় লাঞ্চনাকারী নয়ন ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রেফতার এড়াতে সটকে পড়েছে।
নির্যাতনের শিকার স্কুল শিক্ষিকা মঞ্জু আরা বেগম জানান, "গলিপথটি আমাদের পরিবারের। তাদের সামান্য। তারা নিজেদের দাবি করে খানাখন্দকের গলিপথটি সংস্কারে বাধা দেয়।" এতে বর্ষার পানি জমে প্রতিবেশীসহ সকলের দুর্ভোগ পোহাতে হত। গলিপথটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য। তাই কেউ দখল বা বেদখল করার প্রশ্নই আসে না। তাই সকলের উপকারের তথা ভেবে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে প্রতিপক্ষরা আক্রোশের বশে প্রকাশ্য দিবালোকে নির্যাতন করেছে। চুলের মুঠি ধরে হিঁচড়ে নিয়ে গেছেন সড়কে। সেখানে মারধর করেন। এতে মাথার চুল উঠে গেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা। চিকিৎসা নেয়ার পরেও আঘাতের ব্যথা কমছে না। তাই আইনের কাছে ন্যাবিচার পেতে মামলার করেন এ স্কুল শিক্ষিকা।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আসাদুজ্জামান বলেন, "ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে সত্যতা পাওয়া গেছে। সে মতে রিপোর্ট দিয়েছি।" এ নিয়ে সৈয়দপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) ফইম উদ্দিন বলেন, "শিক্ষিকার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।"
আবীর