
ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম জোরদার করেছে। সোমবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত সপ্তম বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নতুন আচরণবিধির খসড়ায় নির্বাচনী ব্যয় কমানো এবং প্রচারে পোস্টার-ব্যানার ব্যবহার না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, এই প্রস্তাবনা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সভায় উপস্থাপন করা হবে।
প্রধান সিদ্ধান্তসমূহে উল্লেখযোগ্য হলো নির্বাচনী প্রচারে প্রথাগত পোস্টার, ব্যানার বা বিলবোর্ড ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত। পরিবর্তে ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক প্রচারকে উৎসাহিত করা হবে। এছাড়া প্রার্থীদের জন্য ন্যূনতম ব্যয় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে, যাতে অর্থের প্রভাব নির্বাচনী পরিবেশকে প্রভাবিত না করতে পারে। গুজব রোধে ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারের জন্য পৃথক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাবনা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। অনুমোদন পেলে শিগগিরই এ সংক্রান্ত কাজ শুরু হবে। তবে আইন পাস না হলে বিদ্যমান সীমানা অনুযায়ীই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনার বলেন, "আমরা ঈদের আগেই প্রস্তাবনা ক্যাবিনেটে পাঠিয়েছি, কিন্তু এখনো অনুমোদন মেলেনি।"
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টি নামে একটি দল আবেদন করলেও আরও কয়েকটি দল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এসব প্রস্তাবনা চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে বিরোধী দলগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাবিত বিধিনিষেধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র:https://youtu.be/oDuQkcp0JhY?si=1Cu5j7AXV_M_8nqJ
আঁখি