
ছবি: সংগৃহীত
আজ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে অবস্থিত জাপানি ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। তারা সেখানকার ফ্যাক্টরি মালিকদের সাথে আলোচনা করবেন এবং কি ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে তা বুঝে, বিনিয়োগের জন্য সেখানে কতটা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তা যাচাই করবেন।
আড়াই হাজারে যে জাপানি ইকোনমিক জোন রয়েছে, সেটি গতকাল মিরসরাই এবং অন্য আরেকটি যে কোরিয়ান ইপিজেড রয়েছে, সেগুলো পরিদর্শন করা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো আজকে সেই একই ধরনের বিনিয়োগকারীরা নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে অবস্থিত জাপানি ইকোনমিক জোন পরিদর্শন করবেন। মূলত, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য যে ধরনের স্থান প্রয়োজন, এবং সেই স্থান যেন ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ হয় এবং সেখানে বিনিয়োগে কোন রকম সমস্যা না হয়, সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। আমাদের দেশের ইকোনমিক জোনগুলো বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য এমন সব সুবিধা প্রদান করে, যা অন্যত্র পাওয়া কঠিন। এর অংশ হিসেবে, আজকের পরিদর্শনের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সকাল সাড়ে আটটায় ঢাকা থেকে রওনা দেবেন। আশা করা যাচ্ছে তারা ৯টা থেকে ৯:১৫টা অথবা ৯:৩০টার মধ্যে সেখানে পৌঁছাবেন।
এই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মোট ৪৫ জন, দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে অংশ নেবেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন বিদেশি বিনিয়োগকারী, এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি যারা বিদেশে বড় ব্যবসায়ী, তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। সব মিলিয়ে, ৪৫ জনের এই প্রতিনিধিদল জাপানি ইকোনমিক জোনে পরিদর্শনে যাবেন।
বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগকারীদের এই পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত সরাসরি বিনিয়োগ করেন, তবে তারা দেশীয় বিনিয়োগকারীদের সাথে যৌথভাবে বা জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন। বড় বড় কোম্পানিগুলো সাধারণত এমন যৌথ উদ্যোগে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তাই, দেশীয় বিনিয়োগকারীরা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
ইকোনমিক জোনগুলোতে যে বিনিয়োগ হচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলো সরাসরি কারখানা স্থাপন করছে। এছাড়া, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে, অনেক কোম্পানি তাদের উৎপাদন স্থান পরিবর্তন করছে। যেসব কোম্পানি আগে চীনে উৎপাদন করত, তারা এখন বাংলাদেশ বা ভিয়েতনামের মতো দেশে স্থানান্তরিত হচ্ছে, কারণ এখানে শ্রম খরচ কম। হংকংয়ের কোম্পানিগুলোর জন্যও এই স্থানান্তর একটি সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বেড়েছে, এবং এই ধরনের বিনিয়োগ সম্মেলনের মাধ্যমে এটি আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=JULnxT15ayM
আবীর