
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রকাশ করেন যে ২০১২-১৩ সালে স্যামসাংয়ের ২২ বিলিয়ন ডলারের একটি বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসার কথা ছিল, যা পরবর্তীতে ভিয়েতনামে চলে যায়। এই বিনিয়োগটি বাংলাদেশে আসতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে মূল কারণ ছিল কোরিয়ান এক্সক্লুসিভ প্রক্রিয়াজোন (ইপিজেড) সংক্রান্ত জমির মিউটেশন ও কাগজপত্রের জটিলতা।
আশিক চৌধুরী বর্ণনা করেন, যখন স্যামসাং তাদের ডিউ ডিলিজেন্স প্রক্রিয়া শুরু করে, তখন তারা আবিষ্কার করে যে প্রয়োজনীয় জমির কাগজপত্র ও মিউটেশন অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না। তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কর্তৃপক্ষ জমি হস্তান্তর করতে অনিচ্ছুক ছিল। স্যামসাং যখন জানতে চাইল কতদিনে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে, তখন কোনো সুনির্দিষ্ট সময় দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ, স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করে ভিয়েতনামকে বেছে নেয়।
এই ধরনের বিনিয়োগ হারানোর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিডা একটি বিশেষ টিম গঠন করে, যার নাম দেওয়া হয় "প্রজেক্ট অ্যাম্বাসেডর"। এই টিমের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিনিয়োগকারীদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সমন্বিত সহায়তা প্রদান করা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করা। একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ও ক্লিয়ারেন্স দেওয়া সম্ভব হয়েছিল, যা পূর্বে ১০ বছরেও সম্পন্ন হয়নি।
আশিক চৌধুরী জোর দিয়ে বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ উভয়ই। যদি সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থা একযোগে কাজ করে, তবে এই ধরনের সাফল্য আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।
সূত্র:https://youtu.be/aLRWCZyQxC8?si=La6zMjCGQGAoL51o
আঁখি