
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজা ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকা সহ দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি বিভিন্ন জেলায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেছে পুলিশ। চট্টগ্রামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাধারণ জনগণ, যারা এসব ঘটনার ভুক্তভোগী, বলছেন—গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হতেই পারে, কিন্তু সেটি যেন হয় শান্তিপূর্ণভাবে।
এদিকে সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম।
ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। আন্দোলনকারীদের চোখেমুখে ক্ষোভ। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি পণ্য ধ্বংস করছে তারা। অনেক জায়গায় টাকা দিয়ে পণ্য কিনে তা ধ্বংস করা হলেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে দোকান থেকে জোর করে পণ্য বের করে আনা হয়। পাশাপাশি নগরীর লালখান বাজার জিসি মোড়ে ভাঙচুর করা হয় বাটার শোরুম, কেএফসি ও ডোমিনোজ পিজ্জার আউটলেট।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মাহমুদা বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ বা যেগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। দোকান মালিক যদি কেউ অভিযোগ করেন, সে অনুযায়ীও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় কোকসহ সব ধরনের ইসরায়েলি পণ্যের বিরুদ্ধে বয়কট কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু সেখানেও একদল উশৃঙ্খল মানুষ বিভিন্ন শোরুমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একই রকম ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার ও খুলনাতেও।
এক দোকানপ্রতিনিধি বলেন, “আন্দোলন শেষ হওয়ার পরে কিছু দুষ্কৃতিকারী মুখ বেঁধে সন্ধ্যা ছ’টা থেকে সাড়ে ছ’টার ভিতরে এসে আমার দোকানের ভিতরে যারা ছিল, তাদের আহত করে। দোকানের ভিতরে ঢুকে যত প্রোডাক্ট ছিল সব নিয়ে গেছে। নগদ টাকা-পয়সা এবং জুতা যা ছিল সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে।”
ভাঙচুর হয়েছে সিলেটেও। কেএফসি, ডমিনোজ, ইউনিমার্টসহ হামলা ও ভাঙচুর করা হয় বাটা আউটলেটেও। সাধারণ জনগণ বলছেন—ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশিদের সমর্থন অকৃত্রিম, তাই গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধে বিক্ষোভ স্বতঃস্ফূর্ত। কিন্তু বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর, লুটপাট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এ বিষয়ে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ইমরান