ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

মাহমুদা হাবিবা

চিকিৎসা করতে হলেই যেন বর্ডার পার হয়ে দেশের মূল্যবান টাকা পাশের দেশে রেখে আসতে না হয়!

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪৫, ৭ এপ্রিল ২০২৫

চিকিৎসা করতে হলেই যেন বর্ডার পার হয়ে দেশের মূল্যবান টাকা পাশের দেশে রেখে আসতে না হয়!

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবিবা সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আয়োজিত টকশোতে অংশ নিয়ে বলেন, "আজ সকালে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেবল তিনিই নয়, এর আগে আমরা দেখেছি ওবায়দুল কাদেরকেও চিকিৎসার জন্য প্রায়ই দেশ ছাড়তে। এমপি, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি—সকলেই চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশ যান। কিন্তু আমাদের যাদের বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য নেই, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাদের জন্য কী করবে?"

প্রশ্নের জবাবে মাহমুদা হাবিবা বলেন, "মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আপনি তো বোধ হয় জানেন, তার স্ত্রী ক্যান্সার পেশেন্ট, এবং তার চিকিৎসাটা সিঙ্গাপুরেই হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট বিরতির পর পর তাকে যেতে হয়। কিন্তু এবার তিনি নিজেই খুব অসুস্থ হয়ে পড়ায় রোজার মধ্যেই তাকে যেতে হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "যদি দেশের স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করা না যায়... বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতকে যতখানি প্রচারণা করা হয়, ততখানি আসলে হোপলেস এই খাত নয়। তবে আমরা অসম্ভব রকমের নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি মেডিকেল ট্যুরিজমের ওপর, বিশেষ করে পাশ্ববর্তী দেশের ওপর। এটা একধরনের প্রপাগান্ডা সবসময়ই চালানো হয়েছে।"

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে আস্থা রাখি আমাদের ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর। স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি তিন বা চার বছর ধরে, সম্ভবত তারও বেশি সময়। স্বাস্থ্য তো সেকেন্ডারি ইস্যু, প্রথমত প্রিভেনশন ইজ অলওয়েজ বেটার। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব একটি বড় কারণ, যার ফলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঝুঁকিতে আছে।"

তিনি আরও বলেন, "চীনেও একটি দল চিকিৎসার জন্য গিয়েছে, কিন্তু মেডিকেল ট্যুরিজম যে দেশেই হোক না কেন, একে স্বাগত জানানোর সুযোগ আসলে নেই। আমরা খুব সাধারণ মানুষ, তবে আমরা চেষ্টা করছি জনমানুষের জন্য কিছু করতে। আমি আশা করবো, বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এরকম সুস্পষ্ট এজেন্ডা থাকবে। কারণ, সিস্টেমটাকে এতটাই বিকৃত করা হয়েছে যে, আপনি যদি বলেন স্বাস্থ্য খাত সংস্কার করবেন, সেটা শুধু বললেই হবে না—প্রতিদিন করতে হবে, আগামী দশ বছর ধরে।"

শেষে তিনি বলেন, "সবচেয়ে বড় কথা, জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মিডিয়াও এখানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের অসংখ্য সাকসেস স্টোরি আছে মেডিকেল সেক্টরে, যেগুলো তুলে আনা দরকার। যেন মানুষ মনে করে, চিকিৎসা করাতে হলেই বর্ডার পার হয়ে দেশের মূল্যবান অর্থ বাইরে দিয়ে আসতে হবে না। এটা বাস্তবায়ন হওয়া জরুরি।"

তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/p/162NMEVZ5K/

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×