ছবি: সংগৃহীত
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা ও আওয়ামী লীগ নেতারা নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের অংশীদার হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সদস্য। এই সদস্য বর্তমানে পরিবারটির সম্পত্তি, বাড়ি ও গাড়ির দেখভাল করছেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের আরেক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম দস্তগীর গাজী এই পরিস্থিতিতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে চলমান তীব্র বিবাদের কারণে অংশীদার নির্বাচন করতে তার পরিবার কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এছাড়াও তাজুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, নসরুল হামিদসহ অনেকেই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নতুন অংশীদার খুঁজছেন। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছেন, আবার কেউ কেউ সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশে টাকা পাচার করছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং ব্যবসায়ীরা সরকারি এবং বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়ছেন। এর ফলে অনেকেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না।" তবে, তিনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য নিশ্চিত করেননি।
উল্লেখ্য, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ২৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৭০ জনই ব্যবসায়ী ছিলেন, যা মোট প্রার্থীর ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সমস্যা অনেক নেতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
মেহেদী হাসান
