
ছবি: সংগৃহীত
সম্পর্কে সুখী হওয়ার জন্য অনেকেই ভালোবাসা, বোঝাপড়া এবং যোগাযোগের মতো মৌলিক বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেন। তবে বাস্তবতা অনেক সময় এমনটাই হয় না, যেখানে সম্পর্কের গভীরে কিছু অদৃশ্য অমিল থাকে, যেগুলি ৯৫% দম্পতি অনুধাবন করতে পারে না। মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা সম্পর্কের অযাচিত অমিলের প্রমাণ দেয়, এবং একে উপেক্ষা করা দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সম্পর্কের অযাচিত অমিলের ৭টি লক্ষণ:
১. যোগাযোগের অভাব
সম্পর্কের মূল ভিত্তি হল যোগাযোগ, তবে যদি একে অপরকে বোঝা এবং শ্রবণ না করা হয়, তাহলে সম্পর্কের মধ্যে গড়ে ওঠে দূরত্ব। কার্যকরী যোগাযোগ শুধুমাত্র কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একে অপরের অনুভূতি, দৃষ্টিভঙ্গি এবং চাহিদা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. মূল্যবোধের অমিল
সম্পর্কের জন্য একে অপরের মূল জীবনদর্শন বা মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া জরুরি। তবে কখনও কখনও পার্টনারদের একে অপরের লক্ষ্য ও চাহিদার মধ্যে পার্থক্য থাকে, যা সম্পর্কের স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করে।
৩. বিভিন্ন মতামত সমাধান করার ধরন
সম্পর্কের মধ্যে মতবিরোধ থাকলে তার সমাধান করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন এক জন সব সময় সমস্যা এড়িয়ে চলে, এবং আরেক জন তা সমাধান করতে চায়, তখন সম্পর্কের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়।
৪. হাস্যরসের অমিল
সম্পর্কের মধ্যে একে অপরের হাস্যরসের অনুভূতি মিল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা দেখিয়েছে, যে দম্পতিরা একে অপরের হাস্যরস বুঝতে পারে, তারা সম্পর্কের মধ্যে সুখী থাকে।
৫. পারস্পরিক শ্রদ্ধার অভাব
সম্পর্কের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা জরুরি। একে অপরের চিন্তা, অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতাকে সম্মান না করা সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।
৬. আত্মিক ঘনিষ্ঠতার অভাব
শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াও, সম্পর্কের মধ্যে আত্মিক ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন। যদি দুই জন একে অপরের গভীর অনুভূতি শেয়ার না করে, তবে সম্পর্কটি শিথিল হয়ে যায়।
৭. অতিরিক্ত সাদৃশ্য
একে অপরের সাথে অনেক বেশি সাদৃশ্য থাকলে, সম্পর্কটি হয়ে ওঠে একঘেয়ে। একটু পার্থক্য সম্পর্কের মধ্যে বৈচিত্র্য এবং সৃজনশীলতা আনে, যা সম্পর্ককে সুস্থ রাখে।
সম্পর্কের এসব অযাচিত অমিল চিহ্নিত করা কঠিন হতে পারে, তবে এগুলোর প্রতি সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা, সম্পর্কের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মেহেদী হাসান