
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, "আমরা আচরণ বিধি সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তবে কমিশনের অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত এসব বিষয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশ না করাই সঠিক হবে। আমরা কিছু ভালো পরিকল্পনা করছি, যা এই মুহূর্তে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়, তবে আপনি ধারণা নিতে পারেন যে, আমরা একটি সুশৃঙ্খল এবং সৌহার্দপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি।"
তিনি বলেন, "নির্বাচনী ব্যয় সর্বনিম্ন রাখার পাশাপাশি, একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে যাতে নির্বাচনী প্রচারণা কখনও শৃঙ্খলার বিঘ্নিত না হয়। আমাদের লক্ষ্য, গ্রামীণ পর্যায়েও একরকমের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা, যাতে সকল প্রার্থী সমান সুযোগ পায় এবং কোনও ধরনের পক্ষপাতিত্ব না হয়।"
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, "নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার কঠোরতা বৃদ্ধির জন্য আমরা আমাদের সিস্টেম শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। এতে নির্বাচনী প্রচারণার শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
তিনি উল্লেখ করেন, "যেমন আপনি (সাংবাদিক) বললেন, জরিমানা হিসেবে ২০০ বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি বিচারকদের বিবেচনার উপর নির্ভর করে। যেহেতু এটি একটি বিচারিক বিষয়, আমাদের বিচারকদের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করব না।"
এছাড়া, তিনি বলেন, "আমরা নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া এবং আচরণ বিধিমালার ওপর কাজ করছি, যাতে নির্বাচনী শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যায়। আমাদের উদ্দেশ্য হলো একটি সুষ্ঠু, মুক্ত ও সুশৃঙ্খল নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করা।"
এভাবেই নির্বাচনী আচরণ বিধির প্রতি নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=bGbx0HUVvhQ
আবীর