ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১

যারা পহেলা বৈশাখে ইলিশ কিনে খাচ্ছেন, তারা আইন লঙ্ঘন করছেন

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ৭ এপ্রিল ২০২৫

যারা পহেলা বৈশাখে ইলিশ কিনে খাচ্ছেন, তারা আইন লঙ্ঘন করছেন

ছবি: সংগৃহীত

পহেলা বৈশাখে পান্তা ভাত ও ইলিশ মাছ খাওয়ার প্রথাকে বাংলা সংস্কৃতির অংশ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এটি একটি আরোপিত সংস্কৃতি, বিশেষ করে ঢাকাকেন্দ্রিক।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ’ পালন করা হবে। তিনি জানান, "যদি জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে ইলিশের উৎপাদন অনেক গুণে বাড়বে। উৎপাদন বাড়লে বাজারে এর প্রভাব পড়বে, সরবরাহ বাড়বে এবং দামও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।"

পহেলা বৈশাখে ইলিশ খাওয়ার প্রচলন সম্পর্কে ফরিদা আখতার বলেন, "এটা বাংলা সংস্কৃতির অংশ নয়। যারা পহেলা বৈশাখে ইলিশ কিনে খাচ্ছেন, তারা আইন লঙ্ঘন করছেন। ঢাকায় একটি আরোপিত সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে—পান্তা ভাতের সঙ্গে মরিচ ভর্তা কিংবা অন্য মাছ খেলেও তাতে কোনো অসুবিধা নেই।"

তিনি আরও বলেন, "বাঙালির কাছে পহেলা বৈশাখের আগের দিন—চৈত্র সংক্রান্তি—একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। ওই দিনে আমিষ খাওয়ার প্রথা নেই, বরং ১৪ ধরনের শাক খাওয়ার চল রয়েছে। আর বৈশাখের দিনটি ছিল বাতাসা, দই-চিড়া বা ছাতুর শরবত খাওয়ার দিন। ইলিশ না খেলে দিনটা পূর্ণ হয় না। তবে আরও অনেক ধরনের মাছ আছে।"

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জাটকা রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, "ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলেও উৎসব থেমে থাকবে না। বরং আমাদের ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সচেতনতার এই সুযোগটাও বড় উৎসবের অংশ হতে পারে।"

শিহাব

আরো পড়ুন  

×