
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে আসন্ন ইনভেস্টমেন্ট সামিট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। তিনি জানান, এবারের সামিটে রেকর্ডসংখ্যক রেজিস্ট্রেশন পাওয়ায় স্থান সংকুলান করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়ায় অনেক স্থানীয় অংশগ্রহণকারীকে বাদ দিতে হয়েছে বলে তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
তবে তিনি নিশ্চিত করেন যে ইভেন্টটি ফেসবুক, লিঙ্কডইনসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হবে, যাতে সবাই ভার্চুয়ালি অংশ নিতে পারেন।
প্রধান কর্মসূচির অংশ হিসেবে সামিটে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে মূল্যবান মতামত সংগ্রহ করা হবে। একইসাথে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে এপেক্স গ্রুপের নাসিম মনসুর বক্তব্য রাখবেন, যাতে স্থানীয় বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি অবদান রাখা একজন বিদেশি বিনিয়োগকারীকে 'অনারারি সিটিজেনশিপ' প্রদান।
সামিটের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানান বিডা প্রধান। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সাথে শ্রমখাত সংস্কার বিষয়ক চুক্তি এবং নাসার সাথে বেসামরিক মহাকাশ গবেষণায় সহযোগিতার সম্ভাবনা। সাংবাদিকদের সুবিধার্থে ইভেন্ট ভেন্যুতে একটি বিশেষ মিডিয়া কর্নার স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে সরাসরি প্রতিবেদন তৈরি করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ট্যারিফ নীতি পরিবর্তন প্রসঙ্গে আশিক মাহমুদ বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য হুমকি নয় বরং একটি সুযোগ। ইউএসটিআরের রিপোর্টে উল্লিখিত বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কারের সুপারিশগুলো ইতোমধ্যে সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার মতে, এই পরিবর্তন বাংলাদেশকে আরও বিনিয়োগবান্ধব নীতি প্রণয়নে উৎসাহিত করবে এবং প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে।
সূত্র:https://youtu.be/KR45V7mHFlo?si=TS7-w2SEsD2vj1l_
আঁখি