
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রশাসনের আরোপিত পাল্টা শুল্ক নির্ধারিত তারিখ থেকেই কার্যকর হবে এবং এটি পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
রবিবার সকালে ঢাকার গুলশানে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের বাসভবনে আয়োজিত ‘ব্রেকফাস্ট অন ট্রেড ব্যারিয়ার্স’ শীর্ষক এক বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত স্থগিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি একেবারেই চূড়ান্ত।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা মো. আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, বৈঠকে মার্কিন শুল্ক আরোপের প্রভাব, সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা জেনেছি, আমাদের মতো অর্থনৈতিক কাঠামো যেসব দেশের আছে, তারা পাল্টা শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় কী ধরনের নীতি অনুসরণ করছে এবং আমরাও কী পদক্ষেপ নিতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “বৈঠকে কিছু দিকনির্দেশনা পাওয়া গেছে। আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি কীভাবে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের কাঠামো গড়ে তোলা যেতে পারে।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, এই প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে মূল যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করবেন, আর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করবেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “আমরা বৈঠকে আলোচনা করেছি—যেসব যোগাযোগের পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে, আমাদের প্রত্যাশাগুলো কী, শুল্ক ও অশুল্ক বাধা কোথায়, এবং ব্যবসা করতে গিয়ে কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে উভয়পক্ষ।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের অর্থনীতির জন্য যেটা সহায়ক, সেটা আমরা গ্রহণ করব। কিন্তু যেটা আমাদের জন্য সহায়ক নয়, সেটি গ্রহণ করা সম্ভব নয়—এমন একটি অবস্থান থেকেই আমরা আলোচনা করেছি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো গুজব প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “৯ তারিখে কোনো কোনো দেশের জন্য শুল্কারোপ স্থগিত হতে পারে—এমন কোনো ইঙ্গিত আমরা পাইনি। এটি একটি হাইপার ডাইনামিক ইস্যু, যার প্রভাব পড়ছে বৈশ্বিক বাণিজ্যে। দেখা যাক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালকও ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।”
এম.কে.