
ছবি: সংগৃহীত
শরীয়তপুরে জাজিরার বিলাসপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আব্দুল কুদ্দুস বেপারীকে রবিবার সকালে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা থেকে র্যাব-৮ ও র্যাব-৩ এর যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-৮ এর মিডিয়া অফিসার অমিত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতেই থানার এসআই সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮শ থেকে ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে শনিবার রাতেই সংঘর্ষের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথবাহিনী জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো বিলাসপুরের আব্দুল মাদবরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০), মৃত আব্দুল লতিফ মাদবরের ছেলে শাহ আলম (৪২), শেখ আব্দুল জব্বারের ছেলে শেখ আব্দুল মালেক (৫৫), আলী আজগর মাদবরের ছেলে শাহজাহান মাদবর(৪৪), মৃত আব্দুর রবের ছেলে মতিউর রহমান (৪৭), মো. ইউসুফ শেখের ছেলে শাহাবুদ্দিন শেখ (২৩) ও শামছুদ্দিন মাদবরের ছেলে শহর আলী মাদবর (৫০)। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। এছাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে রবিবার সকালে বিলাসপুর এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখে গেছে, ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুরো বিলাসপুর এলাকা জুড়ে সাধারণ জণগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তবে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে এলাকা প্রায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। পুরো এলাকায় এখন সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। বিলাসপুরের মেহের আলী মাদবর কান্দি গ্রামের মোকলেছ মাদবরের স্ত্রী মর্জিনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়ন মিয়া ও সাব্বির বলেন, "আমরা এলাকায় শান্তি চাই, সহিংসতামুক্ত এলাকা চাই।" ওই এলাকায় যাতে ফের সহিংসতা না ঘটে সেজন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, বিলাশপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় সংঘর্ষকারীরা প্রায় ২ শতাধিক বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায় এবং উভয় পক্ষের ১৬ জন আহত হয়।
জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দুলাল আখন্দ বলেন, "বিরোধপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"
আবীর