
ছবিঃ সংগৃহীত
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এবারের ঈদ ছিল একটু ব্যতিক্রমী। পুরো এক মাস বাজারে দাম মোটামুটি সহনীয় ছিল। তিনি বলেন, “অন্যবার দেখা যায় এ বাজারে ছিনতাই, ওই বাজারে ছিনতাই, কিন্তু এবার এমন কোনো টেনশনের ঘটনা ছিল না। মোটামুটি শৃঙ্খলা বজায় ছিল। কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে বটে, তবে তা উল্লেখযোগ্য কিছু নয়।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তার ডেফিসিট পূরণ করার জন্য। তবে এই পদক্ষেপ কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
বাংলাদেশের বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ৬.২ বিলিয়ন ডলার ডেফিসিট রয়েছে। আমরা রপ্তানি করি ৮.৪ বিলিয়ন ডলারের এবং তারা আমদানি করে ৬.২ বিলিয়ন ডলারের। সুতরাং এই ৬.২ বিলিয়নই তাদের ডেফিসিট, অর্থাৎ ৭৫%। আমাদের খুব দারুণভাবে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন কীভাবে করা যায়, সেটা দেখতে হবে। আমরা দেখবো কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায়। এটি বিরাট কোনো ইস্যু হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি বড় সুবিধা হলো, গার্মেন্টস খাত চায়না থেকে রিলোকেট হচ্ছে। আমাদের যে গার্মেন্টস আছে তা লোয়ার এন্ডে এক্সপোর্ট করবে—অর্থাৎ যেগুলোর দাম খুব বেশি নয়। এমনকি যদি ট্যারিফ বেশি হয়, তবুও দাম খুব একটা বাড়বে না। এক্ষেত্রে আমাদের এক্সপোর্ট তেমন প্রভাবিত হবে না।”
তবে তিনি জানান, “প্রভাব পড়েছে মূলত তাদের ওপর, যারা দামি কাপড়চোপড় বা এক্সপেনসিভ জিনিসপত্র আমদানি করতেন।”
মারিয়া