ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩১

রাজনীতিবিদরা চান পোস্টাল ভোট

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে প্রক্সি ভোট

মীর্জা মসিউজ্জামান

প্রকাশিত: ০০:১৬, ৬ এপ্রিল ২০২৫

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে প্রক্সি ভোট

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চালু হতে যাচ্ছে প্রক্সি ভোট

প্রথমবারের মতো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চালু হতে যাচ্ছে প্রক্সি ভোট। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে গোটা বিশ্বে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখের ওপরে প্রবাসী বাংলাদেশী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ভোটার রয়েছেন প্রায় ১ কোটি। ভোটার হওয়ার পরও এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রক্সি ভোটের মাধ্যমে ভোটাধিকার ফেরানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। প্রবাসীরা ইসির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এটি নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে। তবে প্রক্সি ভোট নিয়ে রাজনীতিবিদদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সেই কারণে রাজনীতিবিদরা প্রক্সির পরিবর্তে পোস্টাল ভোটের ওপর জোর দিয়েছেন। আর নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে প্রক্সি ভোটের ওপর আপত্তি জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনটি বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে এগোচ্ছে ইসি। সেগুলো হলো সময়ের মধ্যে সম্পাদনযোগ্য একটি পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি, অনলাইন পদ্ধতি এবং প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হলে প্রক্সি ভোট পদ্ধতিটি মোটামুটি পরিসরে আর বাকি দুইটি পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে মনে করছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহর কথায়ও মিলছে এমন আভাস।
তবে রাজনীতিবিদ, অধ্যাপক ও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রক্সি ভোটের মাধ্যমে প্রবাসীদের প্রত্যাশা পূরণ না-ও হতে পারে। যিনি প্রক্সি দেবেন তাকে বলা হলো একজনকে ভোট দিতে, তিনি হয়তো প্রবাসীর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে অন্যজনকে দিলেন। এ জটিলতা কাটাতে প্রক্সি ভোটার কাকে ভোট দেবেন ই-মেইলে ও ফোনে যেন সেই তথ্য (খুদে বার্তা) চলে যায়, এমন পদ্ধতি রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রবাসী ভোটাররা।
সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগে প্রবাসীরা অনেক খুশি। প্রবাসীরা ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পাবে। তবে কিছু সমস্যার কথা বলেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যেন উনার ভোট উনার পছন্দের প্রার্থীকেই দিতে পারে। অন্যথায় সন্দেহ থেকেই যাবে।
প্রক্সি ভোটকে স্বাগত জানিয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসী তানভীর হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, প্রক্সি ভোট পদ্ধতি সরকারের অনেক ভালো একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন। সবসময় বলা হয়, কিন্তু প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। প্রক্সি ভোটে সেই প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। 
কানাডা প্রবাসী মো. মোজাম্মেল হোসেন সাদ্দাম কিছুটা সন্দেহের দৃষ্টি থেকে জানান, যিনি প্রক্সি দেবেন তাকে বললাম এক প্রতীকে ভোট দিতে, তিনি হয়তো সেই প্রতীকে ভোট না দিয়ে তার নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলেন। এটা যেন না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। কানাডা প্রবাসী সাদ্দাম হোসাইন বলেন, যদিও সেখানে নিজের ইচ্ছার মূল্যটা কম থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিয়াউল আহসান বলেন, প্রক্সি ভোটিং সিস্টেম ভালো উদ্যোগ। কোনো উদ্যোগই খারাপ নয়। তবে দেখতে হবে এটি কীভাবে ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে প্রবাসীদের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন যেন হয়। আমি যাকে ভোট দিতে চাই তাকে যেন ভোটটা দিতে পারি, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়।
আরেক প্রবাসী নুরুজ্জামান মামুন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারিনি। বিগত সরকার আমাদের ভোট থেকে বঞ্চিত করেছে। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রক্সি ভোট ভালো উদ্যোগ। প্রযুক্তির অনেক সময় অপব্যবহারও হয়। আমার ভোট যেন সঠিক জায়গায় পড়ে সরকারকে এটি নিশ্চিত করতে হবে। 
তিনি বলেন, যিনি প্রক্সি ভোট দেবেন, তিনি নিজের ভোটও দিতে পারবেন। প্রক্সি মূলত ওয়ান কাইন্ড অব পাওয়ার অব অ্যাটর্নি। প্রবাসীরা বিদেশে বসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং নিজের পক্ষে একজনকে (নিজ নির্বাচনী এলাকার) প্রক্সি ভোটার হিসেবে নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রক্সি ভোটারের এনআইডি ও ফোন নম্বর দিতে হবে। প্রক্সি ভোটের প্রধান সংশয় বিশ্বাস। যাকে প্রক্সি নির্বাচন করা হলো তিনি হয়তো প্রবাসীর ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট না দিয়ে তার ইচ্ছামতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দিতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যিনি প্রক্সি ভোট দেবেন, তিনি নিজের ভোটও দিতে পারবেন। প্রক্সি মূলত ওয়ান কাইন্ড অব পাওয়ার অব অ্যাটর্নি। প্রবাসীরা বিদেশে বসে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন এবং নিজের পক্ষে একজনকে (নিজ নির্বাচনী এলাকার) প্রক্সি ভোটার হিসেবে নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রক্সি ভোটারের এনআইডি ও ফোন নম্বর দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, প্রক্সি ভোটের বড় সংশয় ট্রাস্ট (বিশ্বাস)। ধরুন, সৌদি আরবের একজন প্রবাসী ভোটার কোনো লোককে প্রক্সি নির্বাচন করলেন। সেই ব্যক্তি হয়তো নিজের পছন্দের মতো লোককে ভোট দিলেন। এক্ষেত্রে বিশ্বস্ত প্রক্সি নিয়োগ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। প্রক্সি ভোটার অন্য প্রতীকে ভোট দিলে প্রবাসীকে সেটা মেনে নিতে হবে। কারণ, ব্যালট পেপারের ছবিও তোলা যাবে না। এতে প্রবাসী ভোটারের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হবে।
প্রক্সি ভোটারের যা থাকা লাগবে ॥ নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রক্সি ভোট দিতে হলে ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এনআইডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নিবন্ধনের পর নির্ধারিত অ্যাপের মাধ্যমে সব করবে, কোনো দূতাবাসেরও সহযোগিতা লাগবে না। সরাসরি ভোটার টু ইলেকশন কমিশন। বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকার সময় জানিয়ে দেবে, কারা কারা প্রক্সি ভোট দেবেন। তাদের জন্য আলাদা ভোটার তালিকার প্রয়োজন হবে না।
প্রক্সি ভোটে বড় সংশয় বিশ্বাস ॥ প্রক্সি ভোটের এ প্রক্রিয়া আগামী ৬-৭ মাসে সম্পন্ন করা সম্ভব। ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে প্রক্সি ভোটারদের রেজিস্ট্রেশন করে ফেলবে কমিশন। ভোটের দিন ভোট দেবেন প্রবাসীরা। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার উপযোগী হিসেবে সব বিবেচনায় প্রক্সি ভোট ভালো পদ্ধতি বলে দাবি কমিশনের।
তৈরি হবে অ্যাপ ॥ এ প্রসঙ্গে ইসির এনআইডি উইং পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী অধিশাখা) মো. আব্দুল মমিন সরকার বলেন, ‘আমরা প্রথমে একটা অ্যাপ তৈরি করব। অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আবেদন করবেন। অ্যাপে ফেস ভেরিফিকেশন লাগবে। প্রবাসী ভোটার যাকে ভোট দেওয়ার জন্য মনোনীত করবেন তারও এনআইডি নম্বর লাগবে। 
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, ডিসেম্বরে ভোট হলে অ্যাপের কাজ কবে শুরু হবে? এ প্রসঙ্গে আব্দুল মমিন সরকার বলেন, জাতীয় নির্বাচনের শিডিউল ডিক্লারেশনের (তফসিল ঘোষণার) অন্তত তিন মাস আগে এটা করতে হবে। কারণ কতজন প্রবাসী ভোটার প্রক্সি ভোটের জন্য আবেদন করলেন এটি প্রিসাইডিং অফিসারদের অবগত করতে হবে। তার মানে আমাদেরও কিছু কাজ থাকবে। তবে কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে এই কাজ দ্রুতই করতে পারব।
ইসি জানিয়েছে, প্রক্সি ভোটের জন্য আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিলের মধ্যে একটা কর্মশালা হবে। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এমআইএসটিকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর বাইরেও যে কোনো প্রতিষ্ঠান এ কাজে সহায়তা করতে পারে। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের বিশেষজ্ঞদেরও আমন্ত্রণ জানাবে ইসি। এ ছাড়া একটি সিস্টেম আর্কিটেকচার ডেভেলপের জন্য ইসির সাবেক অভিজ্ঞ কর্মকর্তা এবং এনজিওকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
পোস্টাল ব্যালট ভোটিং সিস্টেম অচল ॥ এদিকে পোস্টাল ব্যালট ভোটিং সিস্টেমকে ‘অচল ভোটিং ব্যবস্থা’ দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার জন্য পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি কার্যকর নয় বলেও মনে করছে কমিশন। এ কারণে প্রক্সি ভোট পদ্ধতির সুপারিশ করেছেন ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। 
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। যদি দেখি এটি (প্রক্সি পদ্ধতি) গ্রহণযোগ্য হচ্ছে তখন আমরা সিস্টেম ডেভেলপমেন্টে যাব। ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের প্রত্যাশা যদি সত্যিকার অর্থেই পূরণ করতে চাই তবে প্রক্সি ভোটিংয়ে যেতে হবে। বর্তমানে কয়েকটি দেশে বিভিন্ন পরিসরে এ পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যার মধ্যে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া অন্যতম। প্রতিবেশী দেশ ভারতে শুধু সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য প্রক্সি ভোটিংয়ের প্রচলন আছে।
তিনি বলেন, ‘প্রক্সি ভোটিংয়ের সুবিধা হলো, এটি একটি প্রচলিত পদ্ধতি। আমরা পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে তো জমিজমাও কেনাবেচা করি। ভোটও তো অধিকার। সেটিকেও আমরা যদি এভাবে (প্রক্সির মাধ্যমে) বাস্তবায়ন করতে পারি তবে একটা ফলাফল আসবে। বাংলাদেশেও প্রতিবন্ধীদের ভোট অন্যজন দিতে পারেন, যদিও এটিকে প্রক্সি ভোটের সঙ্গে মেলানো যাবে না। তবে আমরা বলছি একটি স্কোপ (সুযোগ) আছে। এটি খুব কম সময়ে রিয়েল টাইমে করা সম্ভব।
প্রক্সির চেয়ে পোস্টাল ভোটে গুরুত্ব ॥ প্রক্সি ভোটের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা। তারা প্রক্সির পরিবর্তে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, প্রক্সি ভোট নিয়ে বিএনপির দলগতভাবে আপত্তি রয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডাক্তার সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা প্রক্সি ভোটের পক্ষে না। এ ব্যাপারে সরকার যদি আমাদের পরামর্শ চায় আমরা আমাদের মতামত দেব। তবে প্রক্সি ভোট দেওয়ার পক্ষে আমি বা আমাদের দল নেই।’ তিনি বলেন, সরকার যদি প্রক্সি ভোট না করে পোস্টাল ভোটের ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা সাপোর্ট দিব। 
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনে আমাদের মতামত দিয়েছি সেখানে প্রক্সি ভোট প্রদানে কি কি সমস্যা তা উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও সরকার এ উদ্যোগ নিলে কি আর করার। 
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাদেক ফেরদৌস জনকণ্ঠকে বলেন, প্রক্সি ভোটে ভোটারের নিজ ইচ্ছা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। সেক্ষেত্রে ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে না। সে যতটা আপনই হউক না কেন।
যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে, ‘আমরা রাজনৈতিক দল ও অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। যদি দেখি এটি (প্রক্সি পদ্ধতি) গ্রহণযোগ্য হচ্ছে তখন আমরা সিস্টেম ডেভেলপমেন্টে যাব। পরে টেস্টিং ও অডিটিংয়ে যেতে হবে। এরপর আমাদের আইনে পরিবর্তন আনতে হবে। ফাইনালি ট্রায়াল রানে যাব।’ আমরা আশা করছি, যদিও এটি কন্ডিশনাল ব্যাপার, সব যদি করতে পারি প্রক্সি ভোটিংটা মোটামুটি পরিসরে আর বাকিগুলো ট্রায়াল বেসিসে বাস্তবায়ন করতে পারব বলে আমাদের ধারণা। 
ইসি কর্মকর্তা বলছেন, এখনো বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও প্রাথমিকভাবে কমিশন আত্মীয়দেরই এই ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে। এতে বাবা, মা, ভাই, বোন, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, পুত্রবধূ বা রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়রা প্রক্সি ভোটার হতে পারবেন। এক্ষেত্রে অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী রেজিস্ট্রেশন করে সেখানে একজনকে তার ভোট দেওয়ার জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেবেন। সেই ব্যক্তি প্রক্সি হিসেবে নিজের ভোটের পাশাপাশি অন্যের ভোটটাও দিতে পারবেন।

×