
ছবি সংগৃহীত
চলতি এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তান। শনিবার এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ২০১২ সালে সর্বশেষ দুই দেশের মধ্যে এমন সংলাপ হয়েছিল।
এবারের সংলাপে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশই সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছে। এই রাজনৈতিক সংলাপ সেটিরই একটি অংশ। যেটির লক্ষ্য হলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা। এ সংলাপে পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব থাকবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালোচ।
সংলাপে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার, যৌথ মিনিস্ট্রিয়াল কমিশন পুনর্বহাল এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ইস্যুতে সমন্বয় বৃদ্ধিতে যৌথ কমিশন তৈরির জোর তাগিদ প্রধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে আগামী ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করবেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইশহাক দারসহ বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি। তার এ সফরটিকে বাংলাদেশ পাকিস্তান পারস্পরিক, বাণিজ্য কূটনৈতিকসহ দু দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ তৈরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্কোন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ-পাকিস্থানের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরির পথ খুলবে। যা এই অঞ্চলের সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে দেশ পরিচালনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব দায়িত্ব নেয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। ড. ইউনুস দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র পলিসিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। সে পরিবর্তনের সূত্র হিসেবেই বাংলাদেশ- পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক বদলে যায়।
ড. ইউনূস সরকার বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন করে পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার দিকে নজর দেয় এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কও শুরু হয়।পাকিস্তান ছাড়াও অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও চীনের সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক তৈরি করে। সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান
আশিক