
ছবিঃ সংগৃহীত
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল (ময়লার ভাগাড়) এলাকা পরিদর্শনে এসে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন এক ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। আমি গতকাল নরসিংদী গিয়েছিলাম, সেখানে জেলাখানার সামনের পুরো এলাকাজুড়ে প্লাস্টিক আর পলিথিনে ভরা ছিল। আসলে বর্জ্য সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের দায়িত্ব পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি স্থানীয় সরকার ও সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। কিন্তু যেহেতু এটি পরিবেশ দূষণ করছে, সেহেতু এটা আমার দায়িত্বেও পড়ে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যাটারি পোড়ানো বন্ধ করা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে নিয়ে। আবার যদি কেউ পোড়ানোর সাহস দেখায়, তাহলে আবার অভিযান চালানো হবে। শুধু ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোন করলেই হবে। যারা এসব করে, সেইসব কারখানার মালিকদের আমরা খুঁজে বের করবো।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “আপনারা দুইটি কারখানার কথা বলেছেন, আমি নিজে গিয়ে পরিদর্শন করবো। ওদের পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে কি না দেখবো। যদি ওরা নিয়ম মেনে চলে, তাহলে চলবে। কিন্তু যদি একটি নিয়মও লঙ্ঘন করে, তাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ময়লার ভাগাড় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মাতুয়াইল থেকে ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় লাগবে। কিন্তু সরিয়ে নিলেও প্রশ্ন থাকে—আমি এই ময়লা কোথায় নিয়ে যাবো? কারণ যেখানে নিয়ে যাবো, সেখানকার মানুষও বলবে, ‘আমার এলাকায় ময়লা আনবেন না।’ ময়লা ও ব্যাটারি পোড়ানো যাবে না—এটা পরিষ্কারভাবে বলছি।”
তিনি স্পষ্ট করে জানান, ব্যাটারি এবং ময়লা পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং মাতুয়াইল থেকে ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নেওয়া শীঘ্রই সম্ভব নয়।
মারিয়া