
ছবি: সংগৃহীত
ব্যাংককে বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক। সাত মাস আগে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে সম্ভাবনা তৈরি হলেও সেই সময় তাঁদের দেখা হয়নি।
তবে এবার আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সাবেক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক সম্পর্কের বরফ গলবে কিনা তা বুঝতে আরও সময় লাগবে, তবে আলোচনা শুরু হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল পারস্পরিক উদ্বেগ কমিয়ে আস্থা বৃদ্ধির পদক্ষেপ।
যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনো বাংলাদেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা মেলে নি, তবে আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আগ্রহ উভয় পক্ষেই স্পষ্ট।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চায়, যেখানে ড. ইউনুসও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন। তবে এই বৈঠক থেকে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না।
সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবিরের মতে, বৈঠকের পর দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে আরও আলোচনা হতে পারে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা থাকায় সম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা উভয় পক্ষই অনুভব করছে।
বিশ্ব রাজনীতির সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলোর কারণেও দুই দেশ তাদের পারস্পরিক কূটনৈতিক অবস্থান নতুন করে বিবেচনা করছে। বিশেষ করে, বিশ্ব বাণিজ্যের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে।
পাশাপাশি, ভারতে থেকে শেখ হাসিনার বিভিন্ন রাজনৈতিক মন্তব্য এবং ভারতীয় গণমাধ্যমের অপতথ্য প্রচারের বিষয়টিও বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
ইউনুস-মোদি বৈঠকের পরবর্তী প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে দুই দেশের মানুষ এখনো অপেক্ষায় রয়েছে। তবে এই আলোচনার সূচনা ভবিষ্যতের কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/Bm_fJVUKAOM?si=DK3HkuomVnIYsp2L
এম.কে.