
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, "এই শুল্কারোপ হঠাৎ করেই আরোপ করা হচ্ছে, যা আমাদের ব্যবসায়িক পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যেসব অর্ডার ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং যেগুলোর এলসি খোলা হয়েছে, সেগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হলে তা অন্যায় হবে।"
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে, যার মধ্যে ৫৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের কপার, সয়াবিন এবং কটন অন্যতম। এসব পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যার প্রধান অংশই তৈরি পোশাক খাতের।
মোহাম্মদ হাতেম মনে করেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিনটি রপ্তানি পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে, তাই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্যও শুল্কমুক্ত সুবিধা আদায়ের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা বা প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড সুবিধা আদায়ের জন্য দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা যেতে পারে।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের কিছু পণ্যে উচ্চ শুল্কহার বহাল রয়েছে, যা ব্যবসার জন্য উপকারী নয়। বিশেষ করে ম্যানমেড ফাইবারের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি দীর্ঘদিনের। তিনি বলেন, "এই শুল্ক কমানো হলে আমাদের উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করবে।"
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপের ফলে বাংলাদেশে রপ্তানি খাতে সাময়িক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। বিশেষ করে, নতুন শুল্ক যদি ৫ মে থেকেই কার্যকর করা হয়, তাহলে আগের অর্ডারগুলোর শিপমেন্টেও প্রভাব পড়বে, যা রপ্তানিকারকদের জন্য বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সংকট উত্তরণে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও কৌশলগত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন মোহাম্মদ হাতেম।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/GYPAuPFUZjw?si=iz6rupn7RaxoP9sF
এম.কে.