
ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুরে এখনো কাটেনি ঈদের আমেজ। পবিত্র ঈদকে ঘিরেই চলছে আনন্দ-উৎসব। আজো শহরের শকুনী লেকেরপাড়ে ভিড় করছেন হাজারো দর্শনার্থীরা। সকাল থেকে রাত অবধি শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন মনের আনন্দে। লেকের চারদিকে ঘোরাফেরার পাশাপাশি উপভোগ করছেন মনোরম দৃশ্য। প্রতিদিন সন্ধায় নানা রঙের আলোয় রাঙিয়ে তোলা হয় শকুনী লেকের চারপাশ। কেউ পৌর শিশু পার্কে সন্তানকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। যেকোনো বিশেষ দিনে শকুনী লেক মূল বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। ঈদের সময় লেক ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড় যেন আরও জমে ওঠে।
দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি আনন্দ নিয়ে এসেছে পায়ে চালানো নৌকা বা প্যাডেল বোট। এখানে ঘুরতে আসেন ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার ভ্রমণ পিপাসুদের পাশাপাশি বিনোদনপ্রেমীরা।
২০১৬ সালে সাড়ে ২২ কোটি টাকা খরচ করে লেকের সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। এর আওতায় লেকের চারপাশে ওয়াকওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, আধুনিক মানের রেস্টুডেন্ট, শিশুপার্ক, রয়েছে স্বাধীনতা অঙ্গনসহ বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি করা হয়। এছাড়া লেকের চারপাশে গড়ে উঠেছে ১৫টি ছোট-বড় চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। সেই সঙ্গে ঈদকে কেন্দ্র করে বাহারি সৌখিন পণ্য ও বাচ্চাদের নানা খেলনা সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। প্রতি ঈদের মতো এবারও দর্শনার্থীদের মিলনমেলা বসেছে লেকের পাড়ে। রাতেও কমতি নেই লোকের আনাগোনা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
বরিশালের উজিরপুরের ধামুরা থেকে আসা উজ্জ্বল শেখ বলেন, ‘বন্ধুদের সাথে লেকে ঘুরতে আসছি। খুবই মজা হচ্ছে। প্রাকৃতিক বাতাস আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে’। শরীয়তপুরের জারিজার নাওডোবা থেকে আসা মনির সরদার বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাদারীপুরের শকুনী লেকে ঘুরতে আসি। এবারও এসেছি। খুব ভাল লাগছে। বাচ্চারাও আনন্দ করছে।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘জেলার সবচেয়ে বড় বিনোদনকেন্দ্র শকুনী লেক। এই লেকের চারপাশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘোরাফেরার পাশাপাশি কেনাকাটা করতে পারছেন।’
মেহেদী হাসান