ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১

আমাদের দেশের একজন সত্যিকারের সুপারহিরো আছেন: রুকাইয়া জাহান চমক

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ৪ এপ্রিল ২০২৫

আমাদের দেশের একজন সত্যিকারের সুপারহিরো আছেন: রুকাইয়া জাহান চমক

ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক সম্প্রতি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন। তিনি পোস্টটিতে উল্লেখ করেছেন, অতীতে তিনি ড. ইউনূস সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করতেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা অনেকটাই বদলে গেছে। এখন তাঁর চোখে ড. ইউনূস শুধু একজন ব্যাংকার বা অর্থনীতিবিদ নন, বরং একজন সত্যিকারের সুপারহিরো।

চমক তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থাকাকালীন তিনি স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের খবর পৌঁছে দিতে সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করতেন। এমনকি নিজের বাসা থেকে ‘বাংলাদেশ নিউজলেটার’ প্রকাশ করতেন তিনি।

ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রসঙ্গ টেনে চমক আরও জানান, তিনি চীনের হাইনান প্রাদেশিক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন এবং প্রযুক্তি জগতের কিংবদন্তি বিল গেটস একসময় নিজে গাড়ি চালিয়ে তাঁকে পুরো সিলিকন ভ্যালি ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলেন। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ তিনটি পুরস্কার—নোবেল, আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড ও মার্কিন কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড—এই তিনটি জয়ের বিরল কীর্তি রয়েছে মাত্র ১২ জনের, যাঁদের একজন হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অলিম্পিক গেমসের সম্মানিত মশাল বাহক হিসেবেও তিনি ইতিহাস গড়েছেন। ২০২০ সালের জাপান অলিম্পিকে তিনি মশাল বাহক ছিলেন এবং ২০২৪ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য তিনি। এমনকি ২০২৬ সালের ইতালি অলিম্পিকে তাঁকে পাওয়ার জন্য ইতালিয়ানরা বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছে বলে চমক উল্লেখ করেন।

এছাড়া, বিশ্বের ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নামে ‘ইউনূস সেন্টার’ রয়েছে, যা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মূলত তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স মডেলের প্রতি সম্মান জানিয়ে। বক্তা হিসেবে তাঁর জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ টেনে চমক লেখেন, বিশ্বের অন্যতম উচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত বক্তাদের একজন হলেন ড. ইউনূস। তাঁর একটি বক্তব্য শুনতে খরচ হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার বা তারও বেশি।

তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে তাঁকে ৮২ বছর বয়সে প্রায় ৪০ বার আদালতের ৮ তলায় উঠতে হয়েছে লিফট ছাড়া, যা একজন বয়স্ক মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর।

চমক বলেন, "আমাদের দেশের একজন সত্যিকারের সুপারহিরো আছেন। তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।"

এম.কে.

×