
ছবি: সংগৃহীত
ঈদের ছুটি শেষে ভোলা থেকে কর্মস্থলে পরিবার পরিজন নিয়ে ফিরতে শুরু করেছে হাজার হাজার মানুষ। আজ শুক্রবার সকালে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে সাধারণ যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ইলিশা-লক্ষীপুর রুটের লঞ্চ ও সি-ট্রাকগুলোতে দুই থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে । নৌ যানের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী হওয়াতে অনেকেই লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করতে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। আবার অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ট্রলারে মেঘনা নদী পাড়ি দিচ্ছেন।
এ রুটে ২টি লঞ্চ ও ৪টি সি-ট্রাক চলাচল করলেও বর্তমানে যাত্রীর তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খুবই নগন্য। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজের তাগিদে পরিবার পরিজন নিয়ে উত্তাল মেঘনা পারি দিচ্ছে নিরুপায় সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে । ভূক্তভোগী যাত্রীরা জানান,ইলিশা ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোর শেষ নেই। ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌ যানে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মানুষ লঞ্চ না পেয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে। মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। গাড়ির ভাড়াও বেশি নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন যাত্রীরা। প্রশাসনের সঠিক তদারকি না থাকায় এমন অনিয়ম হচ্ছে বলে দাবি সাধারণ মানুষের।
ভোলা নদী বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা মো: জসিম জানান,ভোলার ইলিশা-ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন ১৮টি লঞ্চ চলাচল করে। এছাড়া ইলিশা লক্ষীপুর রুটে ২টি ও ৪টি সি- ট্রাক চলাচল করছে। কিন্তু ইলিশা ঘাটে কয়েক হাজার যাত্রী ইলিশাঘাটে লঞ্চ না পেয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত নৌযান না থাকায় মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। তাই ইলিশা লক্ষীপুর রুটে আরো নৌযান দেয়ার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
ভোলা নদী বন্দরের সরকারি পরিচালক মো: রিয়াজ হোসেন জানান, ইলিশা থেকে কোন অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। লক্ষ্মীপুর প্রান্ত থেকে রাতে ঝুঁকি নিয়ে কিছু ট্রলার আসে।রাতে ডুবো চরে আটকা পড়লে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ পর্যন্ত ২ লক্ষ টাকার উপর জরিমানা করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো বৈধ নৌযান পরিচালনা করার জন্য।
হাসিব রহমান/মেহেদী হাসান