
ছবি: সংগৃহীত
ভোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের পুরাতন বাজার এলাকায় দুই পক্ষের লোকজন এ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিন জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নে জমি বিরোধে জেরে সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জামাল হাওলাদার নিহত হন। এ ঘটনার বিচার ও হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভেলুমিয়া পুরাতন বাজার এলাকায় ইউনিয়ন বিএনপির একটি অংশ বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় অরাজনৈতিক হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিক বিষয়ে জড়ানোর অভিযোগ এনে এলাকার বিএনপির অপর একটি অংশ বিক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এনিয়ে বিএনপির নেতা ইউনুস কমান্ডার ও শাজাহান বাদশা পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিন জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইউনুছ কমান্ডার সাংবাদিকদের বলেন, সালিশকে কেন্দ্র করে ঘটা হত্যাকান্ডকে একটি পক্ষ রাজনৈতিক খাতে নিতে চায়। এটা নিয়ে তাঁরপক্ষের এক কর্মী নাফিজুর রহমান সাব্বির ওই বিক্ষোভকারী পক্ষের মো. ইমরানের কাছে জানতে চায়, কেনো একটি অরাজনৈতিক বিষয়কে রাজনৈতিক খাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ কে বা কারা নাফিজের মাথায় আঘাত করে। এ কারণে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ হয়, এতে তাঁর ৫ জন আহত হয়েছে। আহত নাফিজ ও মো. শাজাহানকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারী পক্ষের আহত আব্দুল জলিল খান বলেন, পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছে না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ কারণে তাঁরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, হত্যার ঘটনায় নিহতের মেঝো ছেলে মো.টিটন বাদি হযে জ্ঞাত-অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। তাঁরা এজাহারভূক্ত চারজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এখন দলীয় কোন্দল থাকার কারণে বিক্ষোভ সমাবেশ, সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো থানায় কোনপক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
হাসিব রহমান/মেহেদী হাসান