ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শকসহ ৩ পুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ৪ এপ্রিল ২০২৫

আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে সহকারী উপপরিদর্শকসহ ৩ পুলিশ সদস্য অবরুদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে গিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হেনস্তার অভিযোগে হাতীবান্ধা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রায় ১ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।

তবে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে হাতীবান্ধা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলী তার বিরুদ্ধে নিরপরাধ ব্যক্তিকে হেনস্তার ও তাকে অবরুদ্ধ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের ডাকালীবান্ধা এলাকার জাইদুল ইসলামের ছেলে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি লিমন হোসেনকে গ্রেফতার করতে যান এএসআই মোহাম্মদ আলী ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তবে তারা ওয়ারেন্টভুক্ত লিমনের বাড়িতে না গিয়ে একই গ্রামের লাভলু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে লিমনকে খোঁজেন।

এসময় পুলিশ সদস্যরা লাভলু মিয়ার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি চালান। একপর্যায়ে লাভলু মিয়া তার ছেলে লিমনকে খোঁজার কারণ জানতে চাইলে এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় ভুল বুঝতে পেরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ওয়ারেন্টভুক্ত লিমনের বাড়িতে চলে আসে এএসআই মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। পরে হেনস্তার শিকার ওই পরিবারসহ স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই পুলিশ সদস্যদের প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লাভলু ইসলাম বলেন, 'তিনজন পুলিশ সিভিলে এসে আমার বাড়িতে ঢুকে আমার ছেলে লিমনকে খুঁজতে থাকে। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, লিমনের কী অপরাধ? তারা কোনো কথা না শুনে আমার হাতে থাকা ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমার ছেলেকে না পেয়ে পুরো বাড়ি তল্লাশি করে। পরে আমার পরনের লুঙ্গি ধরে টেনে থানায় নিয়ে যেতে চায়। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আমাকে ছাড়িয়ে নেয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।'

হাতীবান্ধা থানার সহকারী উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জানান, আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় আসামির বাড়ি না গিয়ে ভুলবশত আরেকজনের বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। এসময় সাধারণ জনগণ কর্তৃক হেনস্তা ও পুলিশ অবরুদ্ধের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন-নবী বলেন, 'বিষয়টি শুনেছি। এ নিয়ে ওই পুলিশ সদস্যের সাথে কথা বলব।'

রাকিব

×