
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্রামের সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে এক ফার্মেসীর দোকানে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ফার্মেসীর দোকানদার ইকবাল আহমেদ খানকে (৫০) মারধর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ইকবাল আহমেদ খান।
গত মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ধামরাইয়ের চৌহাট ইউনিয়নের কতুব বাজারে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ফার্মেসীর দোকানদার ইকবাল আহমেদ খান টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার কহেলা গ্রামের মৃত রফিক খানের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন মোঃ সুবেল খান (৪৪), মোঃ শাহীন খান (৪৮), মোঃ জিতু খান(৪৫),মোঃ সবুজ খান(৪৮), মোঃ সজীব মল্লিক (৩২), মোঃ সাইদুল খান (৩০), মোঃ ওয়াশিম খান (৩৮), মোঃ সাইফুল খান (৩০), মোঃ সাকিব খান(২৭), মোঃ হালিম মল্লিক(৫৫), মোঃ জলিল মল্লিক (৬০)। অভিযুক্তরা সকলেই ভুক্তভোগীর পাড়া প্রতিবেশী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের সাধারণ সভার একটি কথাকে কেন্দ্র করে তর্ক-বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কতুব বাজারের ফার্মেসীর দোকানে লোকজন নিয়ে হামলা চালায় এবং মারধর করে দোকানে থাকা দুই লাখ টাকা নিয়ে যায়।
এ সময় ভুক্তভোগীর ডাক-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জামুর্কী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুবেল খান বলেন, গ্রামের সাধারণ সভা শেষে আমি সন্ধ্যায় কতুব বাজারে যাই বিস্কুট কেনার জন্য। গেলে ইকবাল আমাকে হঠাৎ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে বিষয়টা আমি আমার ভাইকে জানালে সে ইকবাল এর কাছে গালিগালাজের কারণ জানতে চাইলে ইকবাল রড দিয়ে বাড়ি দিতে যায়। তখন তার হাতের রড কেড়ে নেয়ার সময় সে রাস্তায় পড়ে গিয়ে হয়তো তার হাত-পা ছিলে যায়।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আবীর