
মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পরেও কেন এখনো বুদ্ধুজীবী হত্যার জরিপ হল না, এর বিচার হলো না এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আবদুল হাই শিকদার।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘এই যে দীর্ঘ ৫৩-৫৪ বছরে একটা জরিপ কি চালানো হয়েছে? একটা তদন্ত কমিটিও কি বানানো হয়েছিলো? কতগুলো মানুষ হত্যা করা হয়েছে সেই সংখ্যাটা মাপার জন্য মিনিমাম কোনো উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছিলো? কেউ নেয়নি। না নিয়ে একটা সংখ্যা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি মিডিয়া মুজিবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তোমার মুক্তিযুদ্ধে কতজন মারা গেছে? মুজিব তিন বিলিয়ন, তিন মিলিয়ন, তিন লাখের পার্থক্য বুঝে নাই। বলে দিয়েছে তিন মিলিয়ন। এটা তিনি মুখ ফসকে বলেছিলেন। এখন আমি আরেকটা প্রমাণ দাঁড় করাচ্ছি, ডেপুটি সেক্রেটারি আসাফুদ্দৌলা সাহেবের নেতৃত্বে একটি সেল গঠন করা হয়েছিলো যে মুক্তিযুদ্ধে কতজন মানুষ মারা গেছে তার জরিপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। তখন তাকে জানানো হয় ২২-২৩ হাজার মানুষ হত্যার রেকর্ড পাওয়া গেছে। সেটা শুনে মুজিব বলেন, জরিপ বন্ধ করে দিয়ে ৩০ লক্ষই চালিয়ে দেন। আসাদুদ্দৌলা সাহেব এখনও জীবিত আছেন। তিনি নিজে এটা বলেছেন। সেই জরিপ একেবারেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল।’
‘এছাড়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিখ্যাত প্রফেসর শর্মিলা বোস তার বই ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বই ‘ডেড রেকনিং’ এ একটি জরিপ করেছিলেন সেখানেও সব মিলিয়ে ৭০-৮০ হাজার মানুষ হত্যার রেকর্ড পাওয়া যায়। শর্মিলা বোস একমাত্র ব্যক্তি যিনি ৭১ এর যুদ্ধের প্রত্যেকটি স্পট ধরে ধরে সুমারি চালিয়েছেন। প্রতিটি বধ্যভূমিতে তিনি গেছেন। প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে তিনি গেছেন। ৭-৮ বছর অনেক পরিশ্রম করে তিনি বইটি লিখেছেন। তার বইতে তো হত্যার সংখ্যা এক লাখই ছাড়ায় না। এটা কেউ মানবে কি মানবে না সেটা তার ইচ্ছা।’ বলেছেন আবদুল হাই শিকদার।
মুমু