
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজার পরিস্থিতিকে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল বলে মনে করছেন অনেক সাধারণ নাগরিক। এক বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংগ্রহকালে, বেশ কয়েকজন জনসাধারণ তাদের মতামত জানাতে উপস্থিত হন।
এসময় একজন নাগরিক মন্তব্য করেন, “শেখ হাসিনা থাকলে হয়তো বলতেন, আপনি লেবু কেন খাবেন? লেবু খাওয়ার প্রয়োজন নেই, লেবুর মধ্যে আপনি ভিমবার খান, ভিমবারের শক্তি ১০০ লেবুর সমান।” তিনি বলেন, “এখন বাজারের দাম অনেক কমে গেছে, ঈদের পর সবজির দাম অনেক কমেছে, যা বলার মতো নয়। গরিব, মধ্যবিত্ত সবাই খুব ভালোভাবে খেতে পারছে। ঈদটা আমরা সুন্দরভাবে করতে পারছি। যদিও রমজান মাসে লেবুর দাম কিছুটা বেশি ছিল, তবে সেটাও আমার জন্য সমস্যা হয়নি। আমি ১০০ টাকা হালি হলে লেবু খেতে পারতাম।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তিনি যেভাবে দেশের পরিস্থিতি পরিচালনা করছেন, তাতে আমরা ঈদটা শান্তিতে কাটাতে পারছি। বিগত ১৫-১৬ বছর ধরে এমন শান্তিতে ঈদ পালন করতে পারিনি। ড. ইউনূসের মতো একজন মানুষ আমাদের দেশে দরকার ছিল। যে যাই বলুক, ড. ইউনূস খারাপ না, আমরা জনগণ খারাপ। দেশের ভালো চাইলেই আমাদেরও ভালো হতে হবে।”
এছাড়া, তিনি দেশের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “এখন বাজারে শান্তি এবং নিরাপত্তা ফিরে এসেছে। কোনো বড় দুর্ঘটনা বা যানজট নেই। ড. ইউনূসের মতো একজন মানুষ যদি দেশের শান্তি না আনতে পারে, তাহলে অন্য কোন দল তা করতে পারবে না।”
তিনি আরও জানান, “ড. ইউনূস গরিবদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করে সাহায্য করছেন। তিনি কোনো সুদখোর নন। যদি তিনি না দাঁড়াতেন, আমরা ভাঙা ঘরে বসবাস করতাম। এখন ঘরও পেয়েছি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করে খেতে পারছি।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “এখন স্বাভাবিক বাজার ব্যবস্থা চলছে, গরিবরা সাধ্যমতো সহায়তা পাচ্ছে। আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল দেশটি শান্তিপূর্ণ রাখা এবং সবাই যেন ভালো থাকতে পারে।”
এভাবে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে বিভিন্ন মতামত ও আলোচনা চলছে, যা দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে একটি সংকেত প্রদান করছে।
নুসরাত