
ছবিঃ সংগৃহীত
কুলাউড়ার কৃতি সন্তান এবং জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র সাড়ে ১২ বছর বয়সে ছিলেন, তাই তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা একেবারেই অবিশ্বাস্য।
ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "আমি একসময় অন্য একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, যা আজকে আমি লজ্জার সঙ্গে স্মরণ করি।" তিনি জানান, ২০০১ সালের পর প্রায় ২৪ বছর পর কুলাউড়ায় ফের এসে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে কখনোই কোনো মিথ্যা অভিযোগ কিংবা সাক্ষ্য প্রদান করা হয়নি। জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে ২০০১ সালের পর সরকার বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন চালিয়েছে, যার ফলে অনেক নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
ডা. রহমান আরও অভিযোগ করেন, "২৬ হাজার কোটি টাকা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতারা পাচার করেছে" এবং সেদিনের সরকারের আচরণ ছিল অত্যন্ত নির্দয়।
তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর জানান, "তাদের চোখের জল দেখে মনে হয়েছে, যতদিন শহীদের চোখের পানি থাকবে, ততদিন তাদের সংগ্রাম চলবে।" এছাড়া, তিনি বলেন, "বাংলাদেশকে আল্লাহ মুক্ত করেছেন, এবং তিনি চান ফিলিস্তিনও জালিমের হাত থেকে মুক্তি পাক।"
ডা. শফিকুর রহমান চা বাগান শ্রমিকদের সমস্যার কথা তুলে ধরে জানান, "তারা কঠোর পরিশ্রমের পরও বড় সংকটে রয়েছে এবং তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, "মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজের কল্যাণে কাজ করতে হবে।" জামায়াত নেতা বলেন, "আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে হিন্দু-মুসলিম, মেজরিটি-মাইনরিটি বিভাজন থাকবে না।"
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/15vuBS1fhw/
মারিয়া