
ছবি : সংগৃহীত
প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টে নিউইয়র্ক টাইমসের 'বাংলাদেশের পুনর্জাগরণে সময় ইসলামিস্ট চরমপন্থীদের সুযোগ ' শীর্ষক প্রতিবেদনের জবাব দিয়েছেন। তিনি প্রতিবেদনটিকে বাংলাদেশের বাস্তবতার সাথে অসংগতিপূর্ণ ও একপেশে বলে আখ্যায়িত করেন।
শফিকুল আলম তার পোস্টে উল্লেখ করেন যে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি বাংলাদেশকে ধর্মীয় উগ্রবাদের কবলে পড়তে যাওয়া দেশ হিসেবে চিত্রিত করেছে, যা দেশের প্রকৃত চিত্রকে বিকৃত করে। তিনি বলেন, "১৮ কোটি মানুষের এই জাতির অগ্রগতি ও সংঘাতের বহুমাত্রিক গল্পকে একপেশে উদাহরণ দিয়ে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।"
প্রেস সচিব তার পোস্টে বাংলাদেশের নারী অধিকার, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষায় অর্জিত সাফল্যগুলোর কথা তুলে ধরেন। তিনি 'যুব উৎসব ২০২৫'-এর উদাহরণ টেনে বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ২৭ লক্ষ মেয়ে ৩,০০০ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে। মাত্র একটি ফুটবল ম্যাচে বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকি ২,৯৯৯টি সফল আয়োজনকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে উত্থাপিত অভিযোগের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, "নোবেলজয়ী ইউনূস তাঁর সমগ্র কর্মজীবন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে উৎসর্গ করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে লক্ষাধিক নারীকে স্বাবলম্বী করেছেন, যা নারী অধিকারে বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।"
প্রেস সচিব রাজনৈতিক সংঘাতকে ধর্মীয় সহিংসতা হিসেবে চিত্রিত করার প্রবণতার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে কাজ করছে।"
পোস্টে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, গত ৮ মাসে রপ্তানি আয় ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং টাকার মান স্থিতিশীল রয়েছে। সাম্প্রতিক চীন সফরে ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি এবং আগামী সপ্তাহে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য 'ইনভেস্টরস কনফারেন্স'-এর কথা তুলে ধরা হয়।
শফিকুল আলম তার পোস্টে উপসংহার টানেন, "বাংলাদেশের যুবসমাজ, নারী নেতৃত্ব ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনাই দেশটির আসল গল্প। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সমৃদ্ধির পথেই এগিয়ে যাবে।"
আঁখি