
ছবি : সংগৃহীত
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ১ হাজার ৬৪৪ জন নিহত ও ৩ হাজার ৪০৮ জন আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পের পর খাদ্য, পানি, বাসস্থান এবং চিকিৎসার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সরকার প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত আজ ১ এপ্রিল, মিয়ানমারে ত্রাণ সহায়তা পাঠালো বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সকালে, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (BA) এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (BAF)-এর তিনটি পরিবহণ বিমান জরুরি ত্রাণ সামগ্রী ও ওষুধ নিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এ মিশনে উদ্ধার এবং চিকিৎসা দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত আছেন, তিন বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স (FSCD), বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (BA) এবং অসামরিক ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত। উদ্ধারকারী ও চিকিৎসা দলের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৫ জন। এছাড়া, তিনটি বিমানে ৩৭ জন ক্রু সদস্য রয়েছেন। উদ্ধার এবং চিকিৎসা দলগুলি তাদের নিজস্ব সহায়ক সামগ্রী (রেশন, স্বাস্থ্যবিধি সরঞ্জাম, যোগাযোগ সরঞ্জাম, রান্নার যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) নিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া, এই ত্রাণ মিশনে ৮ টন শুকনো খাবার, ২.৫ টন পানি, ৪ টন ওষুধ, ১ টন স্বাস্থ্যবিধি পণ্য এবং ১.৫ টন ত্রাণ তাঁবু পাঠানো হয়েছে, যা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
এর আগে, রোববার, বাংলাদেশ প্রথম ত্রাণ মিশন পাঠিয়েছিল, যার মধ্যে ছিল ওষুধ, তাঁবু, শুকনো খাবার এবং চিকিৎসা দল, যা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, এর মাধ্যমে মিয়ানমারে পাঠানো হয়েছিল।