ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

কেন মিয়ানমারের সামরিকজান্তা ড. ইউনূসের সাথে বসতে চায়?

প্রকাশিত: ০০:২৭, ৩১ মার্চ ২০২৫

কেন মিয়ানমারের সামরিকজান্তা ড. ইউনূসের সাথে বসতে চায়?

ছবি: সংগৃহীত।

অশান্ত মিয়ানমারের পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য এবার কি ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের ডাক পড়েছে? সামরিক জান্তার প্রধান মিন অংলেইং সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ডক্টর ইউনুসের সাথে বৈঠকে প্রার্থনা করেছেন। আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিমস্টেকের আঞ্চলিক নেতাদের সম্মেলন, যেখানে মিয়ানমারের সামরিক জানতা প্রধান ডক্টর ইউনুসের সাথে এই অঞ্চলের রাজনীতি ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করতে চান।

তবে, রয়েটারস সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা মিয়ানমারের সামরিক জানতা বিমস্টেক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বাধার সম্মুখীন হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, মিয়ানমারের অনেক সরকারি কর্মকর্তা বলছেন, মিন অংলেইং আগামী ৩৪ এপ্রিল বিমস্টেক সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য নেতাদের সাথে যোগ দেবেন।

গত দু দশক ধরে অশান্ত মিয়ানমারের অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়েছে। এক সময়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল এটি, কিন্তু এখন গৃহযুদ্ধ ও সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে দেশটির গণতন্ত্র হুমকির মুখে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশের ওপরও অনেক চাপ পড়েছে, কারণ সেখানে প্রায় ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ বছর ধরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কথা বললেও কার্যকর সমাধান এখনো মেলেনি। ভারত ও চীনও এই ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন জানায়নি। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, ডক্টর ইউনুসের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হতে পারে। তার জনপ্রিয়তা শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও তার প্রভাব রয়েছে, বিশেষ করে জাতিসংঘ মহাসচিব ও চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে তার সাক্ষাৎ তার প্রমাণ।

বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো এবং মিয়ানমারের জনগণের উপর ডক্টর ইউনুসের প্রভাব তাকে এই সংকটের সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে, যা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য লাভজনক হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের সমস্যার কার্যকর সমাধানে ডক্টর ইউনুসের ভূমিকা সমগ্র এশিয়া উপকৃত করবে এবং হয়তো তাকে একটি নতুন নোবেল সম্মান এনে দিতে পারে।

নুসরাত

×