
ছবি: সংগৃহীত
প্রতি বছরের ন্যায় এবারো উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায় ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের সবদীগঞ্জ ঈদগাঁ মাঠে। ১৭১২ সালে এ ময়দানে ঈদের নামাজ শুরু হয়। প্রায় ৫১ বিঘা জমির ওপর ময়দানটি সম্প্রসারণ ঘটেছে। ময়দানে প্রায় ৮০টি কাতারে নামাজে অংশগ্রহণ করেন মুসল্লিরা। প্রতি কাতারে প্রায় ৬০০ জন অংশ নিতে পারেন। এর চেয়ে বড় ঈদ জামাত নীলফামারীতে আর হয় না। যেহেতু এই ময়দানটি নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলা সীমান্ত সংলগ্ন এজন্য এই মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী জেলার প্রায় ৬৫টি গ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৫০ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করবেন। এখানে ইমামতি করবেন মাওলানা মো. তছলিম উদ্দিন। তিনি দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে এই ঈদগা মাঠে ইমামতি করে আসছেন।
চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র জানায়, সব্দিগঞ্জ ময়দানটি অনেক বড় হওয়ায় সেখানে অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এদিকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর দিন সকাল সাড়ে ৮টায় নীলফামারী জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া একই সময় সদরের মোড়লের ডাঙ্গাস্থ নীলফামারী জেলা ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ ও সদর উপজেলার কুন্দপুকুর মাজার সড়কস্থ উপজেলা মডেল মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।তবে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকলে ঈদের প্রধান জামাত জেলা কেন্দ্রীয় বড় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
এর আগে সকাল ৮টায় জেলার প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে মুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। এরপর নীলফামারী পুলিশ লাইন্স মাঠে ঈদের জামাত ৮টা ১৫ মিনিটে। এছাড়া সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে গাছবাড়ি পঞ্চপুকুরপাড়া ঈদগাহ মাঠে, সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউজ-ডাক বাংলো ঈদগাহ মাঠে ও বাড়াইপাড়া নতুন জামে মসজিদ ঈদগা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিকে কলেজ স্টেশন ঈদগা মাঠ, কুখাপাড়া (ধনীপাড়া) ঈদগা মাঠ ও জোড় দরগাঁ ঈদগা মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র মতে, জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায় মডেল মসজিদ ও প্রধান ঈদগা মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সূত্র মতে, জেলা ৬০টি ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভায় প্রায় ১৫০টি ঈদগাহ ময়দান রয়েছে। সেখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নীলফামারী জেলা ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. মোছাদ্দিকুল আলম জানান, জেলায় মোট ৫ হাজার ৫০০টি মসজিদ রয়েছে। ঈদের জামাত সাধারণত ঈদগাহ ময়দানে হয়। তবে এ জন্য আমাদের থেকে কোনও নির্দেশনা বা বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ঈদগা ময়দানে জায়গা না হলে একাধিক জামাত অথবা স্ব-স্ব এলাকার সংশ্লিষ্ট মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আবীর