
সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্প নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে বাংলাদেশেও। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা এখন আর “হবে কি না” প্রশ্ন নয়, বরং “কবে হবে” সেটাই মূল চিন্তার বিষয়।
বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ—বুয়েট, জিএসবি ও ইউএসজিএসের গবেষণা বলছে, দেশে যে কোনো সময় ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে। কারণ, এখানকার ভূগর্ভে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা মাইক্রো প্লেটের সক্রিয় সংঘর্ষে প্রতিনিয়ত শক্তি জমা হচ্ছে।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চলে সক্রিয় ফল্ট লাইনের অবস্থান থাকায় ঝুঁকি অনেক বেশি। ঢাকা শহরের ঘনবসতি, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল ভবনগুলো এই ঝুঁকিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
তবে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর অঞ্চলেও ভূমিকম্পের প্রভাব পড়তে পারে, কারণ একটি ভূমিকম্পের কম্পন ৩০০-৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তার লাভ করতে পারে। অতীতে ১৮৮৭, ১৯১৮ ও ১৯৫০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ইতিহাস আজও স্মরণীয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্প ঠেকানো না গেলেও সচেতনতা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাই ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প প্রতিরোধী নীতিমালা মানা, পুরনো ভবনের ঝুঁকি নিরূপণ, জনগণকে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নিয়মিত মহড়া চালু করাই এখন সময়ের দাবি।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=plqh1gc7nFg
রাজু