
ছবিঃ সংগৃহীত
কারখানার শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আপাতত টিনএনজেড গ্রুপের শ্রমিকদের তিন কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। শ্রমিকেরা শুরুতে তা প্রত্যাখ্যান করলেও পরে মেনে নিয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন।
উল্লেখ্য, টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকেরা শনিবার পর্যন্ত তাঁদের বকেয়া বেতন ও পাওনা পাননি।
এদিকে শিল্প পুলিশ ও পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন জানিয়েছে, কিছু কারখানা ছাড়া বাকিগুলোর শ্রমিকেরা মার্চের অর্ধেক বেতন ও বোনাস পেয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত বেশির ভাগ কারখানায় ছুটি হয়েছে। অবশ্য বেতন-ভাতার দাবিতে টিএনজেডের শ্রমিকেরা শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন , যা শুরু হয়েছিল ২৩ মার্চ।
টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকেরা গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রুপটির তিনটি কারখানা বন্ধ। এসব কারখানার ৩ হাজার ১৬৬ জন শ্রমিকের পাওনা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) একটি কারখানার শ্রমিকদের পাওনার একটি অংশ দেওয়া হয়।
পুলিশ গত বৃহস্পতিবার টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলাম শাহীনকে হেফাজতে নিয়েছিল। তিনি কারখানার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছিল। বেতন-ভাতা পরিশোধের কথা ছিল গতকাল।
এদিন বিকেলে টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক বলেছেন যন্ত্রপাতি বিক্রি করে আপাতত দুই কোটি টাকা দেবেন। ঈদের পরে ৮ এপ্রিল আবার বৈঠক হবে। তিনি যতক্ষণ না শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করছেন, ততক্ষণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে থাকবেন।
সচিবের তিন কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাসে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে।
শ্রমিকেরা সচিবের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন এবং বৈঠক শেষে শ্রমসচিব শ্রম ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর গাড়ি অবরোধ করেন। পরে সচিব আবার বলেন, ‘... ঠিক এই মুহূর্তে ব্যাংক থেকে কোনো সাপোর্ট দেওয়া যাচ্ছে না। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে...যদি ব্যাংক খোলা থাকত একটা স্পেশাল লোন ক্রিয়েট করে আমরা সেটার ব্যবস্থা করতে পারতাম...আজ যদি আমরা চেক দিই, সেই চেক তো ব্যাংকে ক্যাশ করা যাবে না। এ কারণে নগদে আমরা তিন কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছি।’
যদিও শ্রমিকেরা ২৩ মার্চ থেকে পাওনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে সরকারের দিক থেকে পাওনা আদায়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মুমু