ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

ঈদকে ঘিরে মধ্যরাতেও সরগরম বিপণী বিতান

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ০২:১০, ৩০ মার্চ ২০২৫

ঈদকে ঘিরে মধ্যরাতেও সরগরম বিপণী বিতান

মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে একেবারে শেষ মুহূর্তে মধ্যরাতেও বরিশালের বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতাদের দাবি, কর্মস্থল থেকে গৃহকর্তা ছুটিতে বাড়িতে ফিরে আসার পর তারা বাকি কেনাকাটা করতে বিপণী বিতানগুলোতে এসেছেন।

বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন উপজেলার সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।

দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়িক বন্দর গৌরনদীর টরকী বন্দর ঘুরে ওই এলাকার গণমাধ্যমকর্মী আরিফিন রিয়াদ জানিয়েছেন, শনিবার মধ্যরাত সাড়ে এগারোটার দিকেও পরিবারের সদস্যদের জন্য পছন্দের পোশাক ক্রয় করতে বিভিন্ন বিপণী বিতানের দোকানে দোকানে ছুটে চলেছেন ক্রেতারা। ফলে শিশু ও নারী-পুরুষের পদচারনায় একেবারে শেষ মুহূর্তে সরগরম হয়ে উঠেছে টরকী বন্দরের বিপণী বিতানগুলো।

উপজেলা পর্যায়ের সবচেয়ে বৃহৎ গৌরনদী পল্লী বিদ্যুত অফিসের সামনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ভোলা সাহার পরিচালিত ভাই ভাই শপিং মল ঘুরে ওই এলাকার সংবাদকর্মী হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন, এবারের ঈদে ভারত ও পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের পোশাকের পাশাপাশি নতুন আঙ্গিকে বাজারে এসেছে ফারসি, আফগানী, রাশিয়ান কার্ট লং ড্রেস।

এছাড়া নায়রা, সারারা ও গারারাও রয়েছে নারী ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়। পাশাপাশি বরাবরের মতো ছেলেদের পছন্দের তালিকায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে দেশীয় পোশাক পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, শার্ট ও টি-শার্ট।

ভাই ভাই শপিং মলের স্বত্বাধিকারী ভোলা সাহা বলেন, "সামনে গরম, তাই এবারের ঈদে সুতি কাপড়ের চাহিদা একটু বেশি। তাছাড়া ঈদ আসলেই ক্রেতাদের মাঝে নামিদামী ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি আলাদা আকর্ষণ বেড়ে যায়। তাই ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবার নতুন নতুন পোশাক দোকানে তোলা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে।"

ক্রেতা মোনালিসা মৌ বলেন, "আমি যেহেতু মুসলিম, সেহেতু আমি পোশাক চয়েজের ক্ষেত্রে একটু সেনসিটিভ। আমি লং ড্রেস পছন্দ করি। সেক্ষেত্রে এবার দেশী পোশাকের পাশাপাশি আমি পাকিস্তানি ড্রেস ক্রয় করেছি।"

গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া বলেন, "ঈদ আসলেই অপরাধ চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোনো অপরাধী যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য আমরা শপিংমল এলাকাগুলোতে বিশেষ টহলের ব্যবস্থা করেছি। যেকারণে এখন পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।"

পাশাপাশি নারীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড পরিদর্শন করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মনিটরিং করছেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খান এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রা.

নুসরাত

×