ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল ঈদ

প্রাণে প্রাণে উৎসবের স্পন্দন

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৯ মার্চ ২০২৫

প্রাণে প্রাণে উৎসবের স্পন্দন

পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা শেষে দুয়ারে ঈদের আনন্দ

কাটল দীর্ঘ এক মাসের প্রতীক্ষা। পবিত্র রমজান মাসে সিয়াম সাধনা শেষে দুয়ারে ঈদের আনন্দ। পঞ্জিকা অনুযায়ী হিজরি শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়। আজ রবিবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার দেশজুড়ে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর চাঁদ দেখা না গেলে সোমবার ৩০ রোজা পূর্ণ হবে।

সেক্ষেত্রে ঈদ উদ্যাপিত হবে মঙ্গলবার। তবে ঈদের আনন্দ এরই মধ্যে ছড়িয়ে গেছে ধর্মপ্রাণ মুইল্লদের মাঝে। পবিত্র ঈদের নামাজ আদায়ে মুখিয়ে তারা। নিচ্ছেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জায়নামাজ, তসবিহ আর টুপির খোঁজে দোকানে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে অনেকে ছেড়েছেন রাজধানী। শেকড়ের টান আর উৎসবের আমেজে কয়দিন ভাসবে পুরো দেশের মানুষ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর কবে উদ্যাপন হবে তা নির্ধারণে আজ রবিবার বসবে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ধর্ম  উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক। সভা শেষে জানানো হবে ঈদ কবে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। 
এর পরই চিরচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী টেলিভিশনের পর্দায় বাজবে, ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ..., কিংবা বলো ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক ঈদ।’ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক সার্বজনীন ধর্মীয় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, ছোট-বড়, শাসক-শাসিত ও আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবার জন্য ঈদের আনন্দ যেন সমান ও ব্যাপক হয়, ইসলামে সেই ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে চাঁদ দেখা নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের আকাশে কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্ধারিত টেলিফোন বা ফ্যাক্স নম্বরে তথ্য জানানোর অনুরোধ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬ অথবা ০২-৪১০৫০৯১৭) কিংবা ফ্যাক্স নম্বরে (০২-২২৩৩৮৩৩৯৭ বা ০২-৯৫৫৫৯৫১)। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করা যাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তারিখ ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হবে। শনিবার দেশটির ফতোয়া পরিষদ এই ঘোষণা দিয়েছে। 
অস্ট্রেলিয়ান ফতোয়া কাউন্সিল জানিয়েছে, সোমবার অস্ট্রেলিয়ায় ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন হবে। অস্ট্রেলিয়ায় শনিবার রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে শাওয়াল মাসের চাঁদের জন্ম হয় কিন্তু দেখা যাবে আজ রবিবার। ফলে রমজান হবে ৩০ দিনের এবং আগামীকাল সোমবার উদ্যাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতি ড. ইব্রাহিম আবু মোহামেদ মুসলিম সম্প্রদায়কে একটি সুখী, আনন্দময় এবং বরকতময় ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে গাজা ও ফিলিস্তিনের ভাইবোনদের জন্য প্রার্থনা, দান এবং অব্যাহত সহায়তা স্মরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বে সবার আগে ঈদের ঘোষণা দিয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া। এ বছর সবার আগে রমজান মাস শুরুর ঘোষণাও দিয়েছিল তারা।
সাধারণত সৌদি আরব বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদ উদ্যাপনের পরদিন বাংলাদেশে ঈদ হয়। আবার সৌদির আরবের সঙ্গে মিল রেখে একই দিনে বাংলাদেশের কিছু এলাকাতেও ঈদ উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। এর আগে চাঁদ দেখার বিষয়ে গুজবে কান না দিয়ে বিভ্রান্তি এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আক্তারুজ্জামান বলেনÑ আজ চাঁদ দেখা গেলে কালই ঈদুল ফিতর। অন্যথায় পরশু মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতরের আনন্দে মেতে উঠবে সন্দেহ নেই। তবে চান্দ্র মাস শুরু হওয়ার ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।
এদিকে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আজ বিকেল থেকেই শাওয়ালের চাঁদ দেখার জন্য অগণিত মুসলিম আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। চাঁদ দেখা না গেলে পরের দিন ৩০ রোজা পূর্ণ করে মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে।

দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসলিরা কোলাকুলি করবেন একে অপরের সঙ্গে। দোয়া ও মোনাজাত করবেন বিশ্ব মুসলিমের ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা এবং মুসলিম জাহানের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায়।
ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে উপাদেয় খাদ্যসামগ্রী তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। সেমাই খাওয়ার ঈদ বলে প্রচলিত এ ঈদে সেমাইয়ের সঙ্গে থাকবে ফিরনি, পিঠা, পায়েস, কোরমা, পোলাওসহ সুস্বাদু সব খাবার। হাসপাতাল ও এতিমখানায় বিশেষ খাবারের আয়োজন থাকবে। সরকারি শিশু সদন, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র এবং দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে থাকবে উন্নতমানের খাবার ও বিনোদনের ব্যবস্থা। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগারেও পরিবেশন করা হবে উন্নত মানের খাবার।
শপিং মলগুলোতেও চলছে শেষ সময়ের কেনাকাটার ধুম। শেষ সময়ের ভিড় জমে উঠবে কাঁঁচাবাজারসহ মাংস, মুরগি, মসলা ও পোলাওয়ের চালের দোকানগুলোতে আরও বেশি ভিড় জমে উঠবে। অপরদিকে নাড়ির টানে মানুষ ছুটছে গ্রামের পানে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজ এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। এ বছর ঈদ উপলক্ষে পদ্মা সেতুতে মোটরবাইক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে আনন্দ আরও এক ধাপ বেড়েছে সাধারণ মানুষের।
এবারও জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছেরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সব আয়োজন এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। এ ছাড়া অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরে প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।
তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায়। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সম্পাদক (অনুবাদ ও সংকলন বিভাগ) মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আলাউদ্দীন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমামের দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।
পাঁচ জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা মো. জাকির হোসেন।
শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় ॥ এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। এবার শোলাকিয়ায় ১৯৮তম ঈদুল ফিতরের বড় জামাতে নামাজ পড়াবেন ঈদগাহের নতুন ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।

জামাত শুরু হবে সকাল ১০টায়। জামাতকে ঘিরে থাকছে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীর ঘেষে শোলাকিয়া ঈদগাহে যুগ যুগ ধরে ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল নামে। এবারও এই মাঠে ঈদের নামাজ পড়বেন লাখো মানুষ। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ঈদগাহ মাঠের লাইন টানা, রং করা, অজুখানা মেরামত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বেশিরভাগ কাজ। এখন চলছে সাজসজ্জাসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
প্রায় আড়াইশ’ বছরের প্রাচীন শোলাকিয়া ঈদগাহের আয়তন প্রায় ৬ একর। ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে এক লাখ ২৫ হাজার বা ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’, যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত। বড় জামাতে এক কাতারে দাঁড়িয়ে এই মাঠে নামাজ পড়লে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়, এমন বিশ্বাসে প্রতি বছর ঈদের জামাতে অংশ নেন, দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি। বংশ পরম্পরায় এখানে ঈদের নামাজ পড়ছেন অনেকে।
তবে শোলাকিয়ায় ইমাম নিয়ে বিতর্ক থাকায় গত ১৫ বছরে অনেকে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যাননি। সেসময় মাঠের স্থায়ী ইমাম মুফতি আবুল খায়েল মোহাম্মদ সাইফুল্লাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে ইমাম নিয়োগ করায় অনেকে মাঠে নামাজ পড়া বন্ধ করে দেন। এবার দীর্ঘ ১৫ বছর পর শোলাকিয়া ঈদগাহের নতুন ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভায় মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে পুনরায় ইমাম নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথম বারের মতো ঈদগাহের নামকরণ সাইনবোর্ড লাগানো হয়। তাই আয়োজকদের ধারণা, এবার শোলাকিয়ায় মুসল্লির সমাগম গত বছরের তুলনায় বেশি হবে।
এ পরিস্থিতিতে ঈদের জামাতকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী জানান, পোশাকি এক হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাকবে। এ ছাড়া সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। ঈদের দিন সকালে পুরো মাঠ মেটাল ডিডেক্টর দিয়ে সুইপিং করে তারপর আর্চওয়ে পার হয়ে মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। ৬৮টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও ৪টি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকা নজরদারি করা হবে।
র‌্যাব ১৪-এর ময়মনসিংহ ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নাইমুল হাসান বলেন, বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করবে। র‌্যাবের হাতে থাকবে স্নাইপার অস্ত্র। মুসল্লিরা যাতে শোলাকিয়ায় নামাজ পড়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সে জন্য সব প্রস্তুতি র‌্যাবের রয়েছে।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সব কিছু সাজানো হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য মুসল্লিদের টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে।

এবার গত বছরের তুলনায় বেশি মুসল্লি সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে, দূরের মুসল্লিদের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করেছে রেলওয়ে। ঈদের দিন সকাল ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে এবং পৌনে ৬টায় ভৈরব থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেন দুটি কিশোরগঞ্জ পৌঁছাবে সকাল ৮টায়। জামাত শেষে ট্রেন দুটি গন্তব্যে ছেড়ে যাবে দুপুর ১২টায়।

×