ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

ধর্ষণচেষ্টা করায় বেয়াইয়ের চোখ তুলে নেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২০:৫৯, ২৯ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণচেষ্টা করায় বেয়াইয়ের চোখ তুলে নেওয়ার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

যশোরে 'ধর্ষণচেষ্টা করায়' বেয়াইয়ের চোখ তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর জেস গার্ডেন পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গুরুতর আহত (বেয়াই) সিরাজুল ইসলাম কুটিকে (৪৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে ও হাসি বেগমের (বেয়াইন) মেজো মেয়ের শ্বশুর।

তবে এ ঘটনায় উভয় পরিবার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে। ঘটনার পরে হাসি বেগম (বেয়াইন) নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে সিরাজুল (বেয়াই) হাসি বেগমের (বেয়াইন) বাড়িতে যান। এরপর হঠাৎ ওই বাড়ি থেকে মারামারি ও কান্নাকাটির শব্দ পাওয়া যায়। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, একে অন্যকে লোহার পাইপ দিয়ে মারপিট করছে এবং সিরাজুলের এক চোখ ক্ষতবিক্ষত।

এছাড়া, প্রতিবেশীরা হাসির শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখমের দাগ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজুলকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করেন। এসময় হাসি বেগম নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিকে হাসপাতালে সিরাজুল ও তার স্বজনেরা জানান, পূর্বশত্রতার জের ধরে হাসি ও তার মেয়ে মনিকা এবং হাসির আরেক জামাতা মনিরুল মিলে সিরাজুলকে শাবল দিয়ে মারপিট করেন। এছাড়া তার চোখেও গুরুতর জখম করেন।

অন্যদিকে হাসি বেগম অভিযোগ করেন, সিরাজুল দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এসময় আত্মরক্ষা করতে গেলে তার হাত গিয়ে সিরাজুলের চোখে লাগে। এছাড়া তাকেও (হাসি) মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিমাদ্রী শেখর সরকার জানিয়েছেন, আহতের দুটি চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এখানে তার চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

যশার কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায়, সিরাজুল চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাকে খুলনায় পাঠানো হয়। এছাড়া হাসিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাজেদ রহমান/রাকিব

×