
ছবি: সংগৃহীত
"নিজেদের নিরাপত্তা নিজেরা গড়ি, অপরাধ রোধ করি” এই স্লোগানে, একটি সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে মাদক সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, কিশোরগ্যাং ও ইভটিজিসহ সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ১১ গ্রামবাসী।
শনিবার দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় নগর দমদমার সমাজের মাঠে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে এগারো গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য এবং সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে বড় সাদীপুর, নগর সাদীপুর, ষোলপাড়া, লেবুছড়া, কামারগাঁও, দমদমা, বিশেষখানা, দলদার, ভৈরবদী, সাদীপুর ও মুকতিশপুর গ্রামের গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গিকার করেন এবং পবিত্র রমজানের পর তারা সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিবেন বলে ঘোষণা দেন।
বড় সাদীপুর ঈদগাহ কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির শ্যামলের সভাপতিত্বে ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিন মিয়ার সঞ্চালনায় দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল মতিন, আলী নুর, শহিদুল ইসলাম রিপন, আব্দুস সালাম মিঠু, মোক্তার হোসেন, পান্না, মোকাররম মামুন ও জসিম উদ্দিন লিটন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, আব্দুস সালাম, হাজী ইকবাল হোসেন, তারা মিয়া, মজিবুর রহমান, জাকির হোসেন, মিলন, আমির হোসেন, শিপন সরকার মেম্বার, রিপন সরকার, মোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল করিম, মোশারফ হোসেন, আহম্মদ আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সম্প্রতি আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদের প্রতিবেশী গ্রামের একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি আমাদের মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ১১ গ্রামের সাধারণ মানুষদের প্রতিদিনের ঘাম ঝড়ানো কষ্টার্জিত টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন এমন কি কোন কোন সময় বাড়ি-ঘর, দোকানজপাট থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
একজন মানুষের সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের উপার্জিত টাকা-পয়সা স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা’কে নিয়ে ভালো থাকার আশায় উপার্জন করে বাড়ি ফেরার সময় প্রায়ই একদল ছিনতাইকারী তা সর্বস্ব লুটে নেয়। দীর্ঘ দিন ধরে এ ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ ঘটনায় আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পর পর দুইবার মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কিশোরগ্যাং ও ইভটিজিং থেকে তাদের প্রতিরোধ করেছি।
তারা আরও বলেন, আমাদের সমাজ চলবে সমাজের নিয়মে কিন্তু মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, কিশোরগ্যাং ও ইভটিজিং এর মতো সামাজিক অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে যদি আমরা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে আমরা ও আমাদের ভবিষ্যত নিরাপদ হবে।
পরে সমাজের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয় এবং একত্রে ইফতারের ব্যবস্থা করা হয়।
আবীর