
ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ঈদ যাত্রায় স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারছে মানুষ। নেই কোনো যানজট। বাড়তি কোনো ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে না ঘরমুখো যাত্রীদের। তবে পরিবহনগুলোতে বাড়তি ভাড়ার চাপে যাত্রীদের নাভিশ্বাস অবস্থা। ইচ্ছামতো ভাড়া আদায়ের কারণে ঘরমুখো যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সংযোগস্থল ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অবস্থিত। এবারের ঈদযাত্রা ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য অনেকটা স্বস্তির। নেই বড় কোনো যানজট। ঈদকে সামনে রেখে বাড়িমুখো লোকের ভিড় বেড়েছে। সরাসরি গন্তব্য ছাড়াও রাজধানী থেকে অসংখ্য মানুষ লোকাল বাসে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এসে তারপর গন্তব্যে যাওয়ার জন্য পুনরায় বাসে ওঠেন। তবে এ সড়কে এবার তেমন কোথাও নেই যানজট। পথের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়েই পরিবহনে সরাসরি ও ভেঙে ভেঙে মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, মাগুরা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ভোলা, বরিশাল, বরগুনা, মাদারীপুরসহ অন্তত ১৮ জেলায় ছুটে চলছে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যান্য জেলায় মানুষ যাতায়াত করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের বগাইল টোল প্লাজায় গাড়ির চাপ অনেক বেশি হলেও নেই তেমন বড় কোনো জট। বাস ছাড়া ট্রাকেও মানুষ যাতায়াত করছে। এছাড়া মাদারীপুরের টেকেরহাট থেকে ফরিদপুরগামী লোকাল বাসের ছাদেও লোক যাতায়াত করছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের ভিড়ও বেড়েছে। অনেকেই আবার মোটরসাইকেলে যাতায়াত করছে।
স্থানীয় হাইওয়ে থানা সূত্র জানায়, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়ক ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা উপজেলার মধ্যে পড়েছে। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পদ্মা সেতু থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পথ। এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ঈদযাত্রায় গাড়ির চাপ অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী বাড়িমুখো যাত্রী আরশাদ আলী বলেন, "রাজধানী থেকে পরিবার নিয়ে খুলনায় গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। এ পথে চলতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। বাড়তি কিছু ভাড়া দিতে হয়েছে। আশা করি ভালোভাবে বাড়িতে পৌঁছাতে পারবো।"
বরিশালগামী যাত্রী মেহেরুন্নছা বলেন, "গার্মেন্টস ছুটির পর বরিশাল যাবো। সরাসরি পরিবহনে সিট খালি পাইনি। ভেঙে ভেঙে যাচ্ছি। গাড়ি ও যাত্রীর চাপ আছে। তবে নির্বিঘ্নে যেতে পারছি। ভাড়া একটু বেশি লাগছে।"
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান জানান, ঈদযাত্রায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মহাসড়কে বাড়িমুখো মানুষের চাপ ও গাড়ির চাপ বেড়েছে। শনিবার এসে এই চাপ আরও বেশি। এবার তেমন কোথাও কোনো যানজট নেই। ভাঙ্গা এলাকায় যানবাহনের চলাচল নির্বিঘ্ন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে মাদারীপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের অপারেশনাল কার্যক্রম মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।
মারিয়া