ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে চাইলে যে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেন সায়ের!

প্রকাশিত: ০১:২৬, ২৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০১:২৮, ২৯ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে চাইলে যে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেন সায়ের!

ছবিঃ সংগৃহীত

আল জাজিরা সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, আপনি যদি বাংলাদেশের রাষ্ট্র-যন্ত্রে আসলেও কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে চান, তাহলে সর্বপ্রথম যে পদক্ষেপটা নেয়া জরুরি তা হলো রাজনৈতিক দলগুলোর আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলই বিভিন্ন দেশি/বিদেশি প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠি বা ব‍্যক্তির কাছ থেকে ডোনেশন/অনুদান গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁরা কখনোই এটা প্রকাশ করেন না যে কারা তাঁদের ডোনার। 

রাজনৈতিক দল পরিচালনায় ডোনেশন গ্রহণ মোটেও অযৌক্তিক কোন ঘটনা নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এমন প্রচলন রয়েছে, এমনকি সরকারের এমপি/সাংসদরা বিভিন্ন বিষয়ে লবি করার জন‍্যে যে সকল অর্থ গ্রহণ করে থাকে্‌ সেসবের তথ‍্যও পাবলিকলি প্রকাশ করা হয়ে থাকে, কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এমনটা কখনোই ঘটেনি। 

যারা সব সময় সততা, স্বচ্ছতা, নৈতিকতা, জবাবদিহিতা — ইত‍্যাদি ন‍্যারেটিভে গুরুত্ব প্রদান করেন। তাঁরাই যদি নিজেদের রাজনৈতিক দল কাদের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে সেসব তথ্য প্রকাশ না করেন, তাহলে তো ব্যাপারটা একরকমের হিপোক্রেসি হয়ে গেলো। 

কেন রাজনৈতিক দলগুলোর ডোনেশন/অনুদানের বিস্তারিত তথ‍্য প্রকাশ জরুরি সেটা যদি সহজ ভাষায় সংক্ষেপে বলি তাহলেঃ  

১. সাধারণ জনগণ জানতে পারবেন যে দলগুলো কোন প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী, ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন। 

২. যার ফলে ক্ষমতায় গেলে সেসকল প্রতিষ্ঠান, গোষ্ঠী, ব্যক্তি ক্ষমতায় গেলে ঠিক কী কী সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হচ্ছে। একইভাবে বিরোধী পক্ষ এসকল ডোনারদের বিবিধ অপকর্মের বিষয়ে কতটা সোচ্চার। 

৩. অনেক শিল্পগোষ্ঠীই প্রচুর অর্থ ডোনেট করে থাকেন, যখন অনুদানের বিষয়টি প্রকাশিত হবে তখন রাষ্ট্রযন্ত্রে এদের প্রভাব কতটুকু সেটা সরকারের বিভিন্ন কাজকর্মে স্পষ্টতই প্রকাশ পাবে, একই ঘটনা ঘটবে বিরোধী শক্তির ক্ষেত্রেওং 

৪. জনগণ বুঝতে পারবে এই দাতা'রা সরকারের কাছ থেকে কোন প্রেফারেনশিয়াস ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন কি না, তাদের কি অন‍্যদের চাইতে বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে — সেসব বেশ পরিস্কার হয়ে যাবে। 

৫. রাজনৈতিক দলগুলোর ইন্টেগ্রেটি জনসম্মুখে প্রকাশ পাবে, সর্বোপরি সরকার ও রাষ্ট্রেরে উপর আসলে কারা পরোক্ষভাবে কর্তৃত্ব করে সেটাও সবাই জানতে পারবেন। 

৬. দুর্নীতির ক্ষেত্র বেশ সংকুচিত হয়ে যাবে, কারা দুর্নীতির প্রচ্ছন্ন প্রভাবক সেটা স্পষ্ট হবে। 

আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি প্রকৃতপক্ষেই জনমুখী হয়ে থাকেন এবং তাঁদের সদিচ্ছা থাকে, তাহলে ২০-৩০ দিনেই একটা ভালো ওয়েবসাইট নির্মান করে ৫-৬জন টেক স্যাভি কর্মী নিয়োগ করে এই কাজটা শুরু করা যেতে পারে। 

প্রশ্ন হলো, তাঁরা কি এতে আদৌ আগ্রহী হবেন?

 

সুত্রঃ https://www.facebook.com/share/17kCLvK5gv/

রিফাত

×