
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদের ছুটির জন্য যাত্রীদের উপস্থিতি থাকলেও তা অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা কম। বিশেষ করে যারা আগেভাগে টিকিট বুক করেছেন, তাদের সংখ্যাই বেশি। তবে, নিয়মিত যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বাসগুলো সঠিক সময়ে টার্মিনাল ছেড়ে গেলেও সড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারণে ২০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সময় ক্ষেপণ হচ্ছে মাঝেমধ্যে। তবুও প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে যাত্রীরা কষ্ট সয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রস্তুত।
এক যাত্রী বলেন, "আমাদের ঈদের আনন্দটা সবাই ভাগাভাগি করার জন্য। সবার আশা থাকে, আমরা ঢাকা থেকে টাকা ইনকাম করে যাব। পরিবারের সাথে আনন্দে ঈদ পালন করতে এই কষ্ট হলেও যাই। যদি না যাই, আমার পরিবারসহ আমাদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে।"
আরেকজন যাত্রী জানান, "আমরা অনেকদিন ধরে বাড়ি যাইনি। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। রৌদ্রের মধ্যে বাবু নিয়ে অপেক্ষা করছি।"
এদিকে, টিকিটের দাম নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু যাত্রী অভিযোগ করেছেন যে, ঈদের সময় ভাড়া একটু বেশি নেয়া হচ্ছে। এক যাত্রী বলেন, "মাগুরাতে যাব, কিন্তু ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে।" টিকিট বিক্রেতা জানান, "এডভান্স টিকিট বিক্রির সময় বেশিরভাগ টিকিট চলে গেছে। এখন এক্সট্রা গাড়ি চললেও যাত্রী কম।"
কিছু যাত্রী ঈদের সময় টিকিটের দামের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। একজন বলেন, "ঈদের বাইরে ৭০০-৮০০ টাকা টিকিটের দাম, এখন ১৪০০ টাকা নিচ্ছে।" অন্য একজন বলেন, "যদি আমরা দুই দিন পরে যাই, তখন দেখবেন ১৮০০-১৯০০ টাকা ভাড়া, তারপরও সিট পাবো না।"
এদিকে, ঘরমুখী মানুষের প্রচন্ড ভিড় দেখা গেছে গাজীপুরের চন্দ্রা ও ঢাকার টাঙ্গাইল মহাসড়কে। মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজট তৈরি হওয়ায় যাত্রীরা তীব্র ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করছে। পুলিশ জানায়, "এখানে ২২টি পয়েন্টে আমাদের অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছে যাতে কোথাও যানজট সৃষ্টি না হয়।"
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজট নিরসনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক ইউনিট কাজ করছে। এসব বাহিনী সড়কে যানজট মোকাবেলায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে, ঈদযাত্রার ভোগান্তি মোকাবিলায় যাত্রীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তবে যানজট ও ভাড়া বৃদ্ধির কারণে যাত্রীরা কিছুটা অস্বস্তিতে আছেন।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Rwss9p1S1Tg
আবীর