ছবিঃ সংগৃহীত
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদ বাজার, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
এবারের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দাউদকান্দি উপজেলার বিপণী বিতানগুলো বাহারি ডিজাইনে সাজানো হয়েছে। ক্রমেই বাড়ছে বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম। তবে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতা থাকলেও বিক্রি কম। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম অনেকটাই বেশি। তারপরও পরিবারের ঈদ আনন্দের কথা ভেবে কিনতেই হচ্ছে।
অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ প্রশাসন।
দাউদকান্দি পৌর সদরের চেয়ারম্যান মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বিপুল সরকার বলেন, "ঈদে অনেক দোকানেই ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য মূল্য ছাড়ের কথা লেখা থাকে। কিছু ক্রেতা আসছেন, পছন্দ করছেন, কিনে নিচ্ছেন পছন্দমত পোশাক। তবে এবার গতবছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি। ক্রেতারা পোশাকের দাম শুনে বিরক্ত হয়ে চলে যাচ্ছেন। মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় আছে, তবে তুলনামূলক বিক্রি কম। আশা করা যাচ্ছে, ২-৩ দিনের মধ্যে পুরোদমে কেনাকাটা আরও জমে উঠবে।"
আহমদীয়া প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সে আসা ক্রেতা রুবি আক্তার বলেন, "ঈদের ৩-৪ দিন আগে মার্কেটে প্রচুর ভিড় হয়। তাই আগেভাগে চলে এসেছি। পছন্দের পোশাক কিনেছি, আরও কিনবো। তবে দাম খুব বেশি মনে হচ্ছে। দামের কারণে মার্কেটে বেশি সময় দিতে হচ্ছে।"
গৌরীপুর সৌদিয়া প্লাজায় আসা ক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, "নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। মনে হয় না একদিনেই হয়ে যাবে। লাগাম ছাড়া দাম। কোন নিয়ন্ত্রণ নেই মার্কেটে। প্রশাসনের নজরদারিতা ও মনিটরিং করা উচিত।"
দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরী বলেন, "ঈদ এলেই বেড়ে যায় চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে কাজ করছে পুলিশ।"
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে ইতিমধ্যে পুলিশ সদস্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের টহল সার্বক্ষণিক থাকবে। কেউ কোন অভিযোগ দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মারিয়া
