
সাবেক ছাত্রনেতা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে বলেছেন, "জামায়াতের অপভ্রংশ হচ্ছে এবি পার্টি।" তিনি আরও বলেন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ক্যান্টনমেন্টে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তিনি গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর বলেন, "এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলছেন, 'ক্যান্টনমেন্ট আমরা বোমা মেরে উড়িয়ে দিব!' কত বড় সাহস! আমার লাস্ট লাইন অফ ডিফেন্স, আমার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনী। যে সেনাবাহিনী না থাকলে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়া যায় না। সেই সেনাবাহিনীকে বলে, ক্যান্টনমেন্টে নাকি সেনানিবাস বা বোমা মেরে উড়িয়ে দিবে! এদেরকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনা উচিত।"
তিনি আরও বলেন, "সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপন করার অর্থ হচ্ছে গোটা সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করা। আমি বলছি, আজকে যারা সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করতে চায়, এদেরকে প্রসিকিউট করা উচিত। এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।"
আইনের ধারা উল্লেখ করে মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর বলেন, "দ্য পেনাল কোড, সেকশন ১২০, বাংলায় হচ্ছে দণ্ডবিধির ১২০ এর ক ধারায় এদেরকে আইনের আওতায় এনে তারপর আলাপ আলোচনা করুন। আমি বলব, সেনাবাহিনী প্রধান জনাব ওয়াকার-উজ-জামান, আপনি আসুন সামনে, আসুন। আপনি আমাদের বাংলাদেশের মানুষের যে দাবি, বাংলাদেশের জনগণের দাবি হচ্ছে সর্বপ্রথম একটি পার্লামেন্ট নির্বাচিত করা। জনগণের মালিকানা রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া এবং জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি ভূমিকা রাখুন। জনগণ আপনার এই ভূমিকাকে স্বাগত জানাবে।"
সূত্র: https://tinyurl.com/yc5ctct2
আফরোজা