ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

সারাদেশে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন

শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩১, ২৭ মার্চ ২০২৫

শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার শপথ

স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে চট্টগ্রামে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন ও বগুড়ায় বিএনপির মুক্তির ফুলবাড়িতে পুষ্পমাল্য অর্পণ

যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেন। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ বেদি। এ সময় বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথ বাক্য উচ্চারিত হয়। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।

চট্টগ্রাম
যথাযোগ্য মর্যাদা ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বুধবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে ছিল স্মৃতিসৌধ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও নানা আয়োজন। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ বেদি। বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি থেকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শপথবাক্য উচ্চারিত হয়।

চট্টগ্রামের কাট্টলীস্থ স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, সিএমপি কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের উদ্যোগে স্মৃতিসৌধ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ, জাসদ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করে।

খুলনা 
বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর আগে প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ও জেলা ইউনিট, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, কেসিসির প্রশাসক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের প্রশাসক, কেডিএ, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন, আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিরা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, খুলনা প্রেস ক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 
সকাল নয়টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। পরে একই স্থানে পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

ময়মনসিংহ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ মোড়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপ ধোনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক মফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা, পিবিআই, বিজিবি ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ময়মনসিংহ মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

রাজশাহী 
জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় প্রশাসন, সিটি করপোরেশন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে।
সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর জেলা পুলিশ লাইনসে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়। দিনের শুরুতেই রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
ভোর সাড়ে ৬টায় কোর্ট শহীদ মিনারে ফুল দেন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও রাজশাহী জেলা পরিষদ দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেণ। এ ছাড়া রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, বিএমডিএ, বরেন্দ্র ইউনির্ভাসিটি, রাকাব, সিসিবিভিও পৃথকভাবে দিবসটি উদ্যাপন করেন। রাজশাহীর উপজেলা পর্যায়েও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়।

বরিশাল
বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সূচনা করা হয়। এর পরই ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমিতে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শহীদ এডিসি কাজী আজিজুল ইসলাম সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

সকাল নয়টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ফেস্টুন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার। এর পরই কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হয়। 
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিনসহ অন্যরা। দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। 

বগুড়া 
সূর্যোদয়ের পর বগুড়ার ফুলবাড়িতে শহীদ স্মৃতি সৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরে বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ।

নারায়ণগঞ্জ 
জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা চাষাঢ়ার বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে বুধবার সকালে বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবসহ নেতাকর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোটে সাখাওয়াত হোসেনের খানের নেৃতৃত্বে চাষাঢ়ায় বিজয় স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা। এদিকে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহানের নেতৃত্বে বিজয়স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নেত্রকোনা 
প্রত্যুষে কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের পর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, সদর উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, প্রেস ক্লাব, উদীচীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

সকাল ৮টায় নেত্রকোনা আধুনিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ এবং কুচকাওয়াজ। সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক বনানী বিশ^াসের সভাপতিত্বে পাবলিক হলে অনুষ্ঠিত হয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সবংর্ধনা।

মুন্সীগঞ্জ
মহান স্বাধীনতা দিবসে মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে শিশু কিশোররা অংশ নেয়। বুধবার চৈত্রের প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই রোজায় শিশু-কিশোররা চমৎকারভাবে মাঠে প্যারেড করে। সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত ও পুলিশ সুপার শামসুল আলম তালুকদার। এর আগে প্রত্যুষে মুন্সীগঞ্জের স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে বিন¤্র শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ।

গৌরবের ৫৪ বছর পূর্তি দিনটি স্মরণ করতে অনেক মুক্তিযোদ্ধাও আসেন। দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শহীদ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। জেলার টঙ্গীবাড়ি, লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও গজারিয়া উপজেলায়ও অনুরূপ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

নীলফামারী 
দিবসের প্রথমে প্রহরে বুধবার ভোরে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা শহরের স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান চত্বরে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল করিম, পুলিশ সুপার আবুল ফজল মহম্মদ তারিক হোসেন খান পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নীলফামারী প্রেসক্লাব, জেলা বিএনপি, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। সকাল নয়টায় নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান। এরপর সেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। 

পাবনা
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ দুর্জয় পাবনায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. মফিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খাঁন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউর রহমান ম-ল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কাজী শাহনেওয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজিনুর ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাবনা, গণশিল্পী সংস্থা পাবনা, উদীচী, ড্রামা সার্কেল, লায়ন্স ক্লাব, ডায়াবেটিস সমিতি পাবনা শাখাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দুর্জয় পাবনায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করেন।

নওগাঁ 
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। পরে একে একে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নওগাঁ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ, নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সিভিল সার্জন অফিস, জেলা প্রেসক্লাব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

কুড়িগ্রাম 
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কুড়িগ্রামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কুড়িগ্রাম শহরের কলেজ মোড়ে স্বাধীনতা বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ ছাড়া শহরের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করা হয়। এ সময় শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

গোপালগঞ্জ
বুধবার ভোর ৬টায় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম-সংলগ্ন স্বাধীনতা ও বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনি ও শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কর্মসূচি।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসনসহ গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

সকাল সাড়ে ৬টায় সদর উপজেলা পরিষদ-সংলগ্ন ’৭১-এর বধ্যভূমি শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে (জয় বাংলা পুকুর পাড়) ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণসহ তাদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
 
ঝালকাঠি
সকালে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে স্বাধীনতার অমর সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন আশরাফুর রহমান, পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়সহ জেলার সর্বস্তরের মানুষ। সকাল ৯টায় ঝালকাঠি পৌর স্টেডিয়ামে সম্মিলিত কুচকাওয়াজে জেলা প্রশাসক সালাম গ্রহণ করেন ও আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

ঝিনাইদহ 
বুধবার সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে সকাল ৬টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রথমে জেলা প্রশাসক আদুল আওয়াল ও পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

নরসিংদী 
বুধবার প্রত্যুষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন ও দোকান পাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী।

ঠাকুরগাঁও
সূর্র্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনির পর সাধারণ পাঠাগার চত্বরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামসংবলিত স্মৃতিফলকে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, পুলিশ সুপার জাহেদুলর ইসলাম।

এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও উদীচীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে জেলায় প্রথম শহীদ মোহাম্মদ আলী, নরেশ চৌহান কবরে ও জাঠিভাঙ্গা বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
 
বাগেরহাট 
বাগেরহাটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান স্বাধীনতার ও জাতীয় দিবস স্বতঃস্ফূর্ত নানা অয়োজনে উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দশানী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসানসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। এর পর পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পুলিশের কর্মকর্তাগণ।

পরে বিচার বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিএনপি, সিপিবি, বাগেরহাট প্রেসক্লাব, শিক্ষক সমিতি, এলজিইডি, সওজ, জনস্বাস্থ্য, ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, পি.সি কলেজ, ডিপিএফ, ব্রাকসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাা জানানো হয়।

×