
ছবি: সংগৃহীত
রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার ধীরগতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক শেখ রবিউল। তিনি বলেন, "সরকার সংস্কারে আন্তরিক, কিন্তু প্রক্রিয়াটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, যা কাম্য নয়। যদি প্রশাসনের সক্ষমতার অভাব থাকে, তবে তার দায় জাতি বা রাজনৈতিক দল নেবে না।"
তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে সহযোগিতা করছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করা জরুরি। আজও প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমি মনে করি, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, "বাকি সংস্কারগুলো আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে নিয়ে জনগণের কাছে যাব। জাতি যে ইশতেহারকে সমর্থন করবে, তারা সেটাতে ভোট দেবে। এরপর নির্বাচিত সরকার এসে পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত নেবে।"
নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য বিচার বা সংস্কারের অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, "এটি গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য একটি নোংরা প্রচেষ্টা।"
শেখ রবিউল বলেন, "আমরা ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটিয়েছি—একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য, অনির্বাচিতভাবে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য নয়।"
শিলা ইসলাম