ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র চীন ও ভারতের শুভেচ্ছা

কূটনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২৬ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র চীন ও ভারতের শুভেচ্ছা

স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছে। এসব দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানগণ শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক অংশীদারত্বের সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছে, ওয়াশিংটন বাংলাদেশের উজ্জ্বল ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যাত্রাকে সমর্থন করে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশেষ দিনটি উদযাপনের এ সময়ে আমি দেশটির জনগণের প্রতি আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আমাদের উভয় জাতিকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং আরও সমৃদ্ধ করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করছে। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের জনগণ তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে আগ্রহী।’
চীনা প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন বার্তা ॥ বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। বুধবার চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম সিএমজি এ খবর জানিয়েছে।
অভিনন্দন বার্তায় শি জিনপিং উল্লেখ করেছেন, গত অর্ধ শতাব্দীতে, চীন ও বাংলাদেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচ নীতির ভিত্তিতে সম্পর্ক উন্নত করেছে, দু’দেশ সবসময় পরস্পরকে সম্মান করেছে, সমতাসম্পন্ন আচরণ করেছে এবং সহযোগিতা করেছে। তিনি আরও বলেছেন, দু’দেশের বিভিন্ন খাতের সহযোগিতা ফলপ্রসূ হয়েছে। যা দু’দেশের জনগণের জন্য বাস্তব কল্যাণ বয়ে এনেছে।
চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে শি বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং ‘চীন-বাংলাদেশ মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বর্ষের’ সুযোগে, দু’দেশের উচ্চমানের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ নির্মাণ এবং দু’দেশের সার্বিক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়ন জোরদার করতে চান তিনি।
একইদিন, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও অভিনন্দন বাণী পাঠিয়েছেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ॥ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। 
বুধবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের কাছে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বার্তায় বলেন, আপনার জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকার, ভারতের জনগণ এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি আপনার এবং বাংলাদেশের বন্ধুসুলভ জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দ্রৌপদী মুর্মু আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বহুমুখী। আমাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বহুমুখী সংযোগ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষে মানুষে বিনিময়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র। এছাড়া ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ এবং ‘পূর্বে কাজ করুন’ নীতি, আমাদের ঝঅএঅজ মতবাদ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারত একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, এই দিনটি আমাদের ভাগ করা ইতিহাস এবং ত্যাগের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। যা আমাদের দ্বি-পক্ষীয় অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে অব্যাহত রয়েছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা বয়ে এনেছে।

×